প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সুন্দরবন পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, ইউনেস্কো ঘোষিত প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য ও রামসার কনভেনশান কর্তৃক ঘোষিত রামসার জলাভূমি। এই বনের প্রাকৃতিক সম্পদের উপরই নির্ভর করে টিকে আছে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন মানুষ। এছাড়া এই বন উপকূলীয় মানুষের জন্য প্রাকৃতিক রক্ষাকবচও বটে। কিন্তু মানুষের অসচেতনতা, অটেকসই সম্পদাহরণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই ম্যানগ্রোভ প্রতিবেশ আজ হুমকীর মুখে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় নদীভাঙণও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ম্যানগ্রোভ প্রতিবেশ সংরক্ষণ ও নদীভাঙণ রোধে তাই ম্যানগ্রোভ রোপণের কোন বিকল্প আর নেই। ইকো ভিলেজ প্রকল্পের স্থীতিশীলতা নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের ম্যানগ্রোভ বনায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা এইসব কথা বলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী ও ভোজনখালী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ম্যানগ্রোভ বনায়ন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়, যা ১৪ই অক্টোবর ২০১৯ শেষ হবে। বাংলাদেশ এনভায়রণমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) এবং কোরিয়া গ্রীন ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর যৌথ উদ্যোগে এবং স্যামসাং ও কমিউনিটি চেষ্ট অফ কোরিয়ার অর্থায়নে কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়। কার্যক্রমটি শুরু হওয়ার আগে অংশগ্রহণকারীদের ম্যানগ্রোভ রোপণ ও সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা শেষে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে ঢাংমারী নদীর তীরে ২০০০ ম্যানগ্রোভ এর চারা রোপণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বোমোট ১৫,০০০ ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হবে।
ম্যানগ্রোভ বনায়ন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ৬০ জন শিক্ষার্থী, ৪০ জন গ্রামবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বেডস্-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। কার্যক্রম শেষে জনাব বেডস্ এর রজতশুভ্র গাইন ম্যানগ্রোভ বনায়নে সম্পৃক্ত হতে এবং ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহবান জানান।
০১.১০.২০১৯