‘আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক, আপনার সংসার চলে ওই টাকায়, আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়, ওদের সম্মান করে কথা বলেন, ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন, ওরাই মালিক।’
যারা প্রজাতন্ত্রের চাকরি করেন, অর্থাৎ জনগণের করের পয়সায় যাদের বেতন হয়; এই আমলে যারা কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে নেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি হয় শোনেননি অথবা পড়েননি, কিংবা পড়লেও এর অর্থ বোঝেননি। বুঝলে নিয়মিত বিরতিতে এই গণকর্মচারীদের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড সংবাদ শিরোনাম হতো না। বুঝলে এই গণকর্মচারীদের একটি অংশের কর্মকাণ্ড তাদেরকে ক্রমশই গণশত্রুতে পরিণত করত না।
কুড়িগ্রামের একজন জেলা প্রশাসকের ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের খবরের রেশ না কাটতেই এবার একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুললেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার একজন সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড)। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যখন সারা দেশে লকডাউন চলছে, তখন রাস্তায় বের হবার ‘অপরাধে’ বাবার বয়সী লোকদের প্রকাশ্যে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন সাইয়েমা হাসান নামে ওই এসি ল্যান্ড। সংবিধান (অনুচ্ছেদ ২১, ১২০, ১৩৪, ১৫২) অনুযায়ী তিনি ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি’ (কর্মকর্তা নন)। এবং আইনের (সরকারি চাকরি আইন ২০১৮) ভাষায় ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী’। কিন্তু সংবিধানের ক্ষমতাবলে প্রজাতন্ত্রের মালিক যে জনগণ, যাদের করের পয়সায় তার বেতন হয়, সেই জনগণের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশের সঙ্গে তিনি যে আচরণ করলেন, সেটি স্পষ্টত সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন তো বটেই; মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন। এরইমধ্যে ওই কর্মচারীকে প্রত্যাহারের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু, এটি কোনো শাস্তি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
নাগরিকদের কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর ঘটনা এটিই প্রথম নয়। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় তুলেছিল নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তর ঘটনাটি। স্বয়ং একজন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই ঘটনায় কোনো বিচার তো দূরে থাক, উল্টো শিক্ষক শ্যামল কান্তির জীবনই বিপন্ন হয়েছিল। এরপরে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর উপস্থিতিতে পুলিশও সাধারণ মানুষকে কান ধরিয়ে ওঠবস করিয়েছিল। সেজন্য ওই মন্ত্রী বা পুলিশ ক্ষমা চাননি। ফলে আজকে সাইয়েমা হাসান যা করলেন, তা অতীতের ওইসব ঘটনারই লিগেসি।
সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে: ‘কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবে না।’ এই বিধান অনুযায়ী, মনিরামপুরের এসি ল্যান্ড সাইয়েমা স্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং এ কারণে এটি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’রও লঙ্ঘন। তৃতীয়ত, তিনি নিজে একটি ভয়াবহ অপরাধ করে সেই ঘটনার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন এবং সেই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গেছে। ফলে এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিধান মতেও অপরাধ। যদিও এই আইনটি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে এবং বলা হয়, এই আইনটি করা হয়েছে নাগরিকদের হয়রানি করতে। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো, এই আইনে প্রথম শাস্তি পেয়েছেন একজন সরকারি কর্মচারীই। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দি রেকর্ড করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে আট বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে।
আশার সংবাদ হলো, সাইয়েমা হাসানের ঘটনায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদিও এ প্রশ্ন বহুবার উঠেছে যে, প্রত্যাহার বা ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা ওই অর্থে কোনো শাস্তি কি না? কারণ এই প্রত্যাহারকালীন কিংবা ওএসডির সময়কালে কারো বেতন বন্ধ হয় না। পুলিশের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কারো বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু, তিনি বেতন পেতে থাকেন।
ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম কিংবা কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন অথবা সবশেষ মনিরামপুরের এসি ল্যান্ড সাইয়েমা হাসানের দুর্ভাগ্য বলতে হবে এ কারণে যে, তারা যেসব অপরাধ করেছেন, তা তাদের আরও অনেক সহকর্মী নিয়মিতই করে থাকেন। কিন্তু, যেহেতু সব ঘটনার ছবি থাকে না, ফলে তাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হয় না। এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে, কোনো অপরাধের ছবি না থাকলে তার বিচার হবে না। সিলেটেরে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছিল, অতএব দেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ের (১৭ কার্যদিবস) মধ্যে সেই ঘটনার বিচার হয়েছে। একই কারণে সিলেটে খাদিজা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলারও বিচার হয়েছে। কিন্তু, কুমিল্লায় সেনানিবাসের ভেতরে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা কিংবা সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার যেহেতু কোনো স্থির বা ভিডিওচিত্র নেই, অতএব এগুলোর বিচারও নেই।
কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনে বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়েছে দুটি কারণে: ১. তার নির্দেশে একজন সাংবাদিকের বাসায় গিয়ে প্রশাসনের কিছু ‘ক্যাডার’ মধ্যরাতে কথিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কথিত মাদক রাখার দায়ে শাস্তি দিয়েছেন এবং এর বিরুদ্ধে তিনি যে সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন, সেই প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই তার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল; ২. এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছিল। এই একই ঘটনা যদি স্বল্প পরিচিত কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে ঘটত এবং তার প্রতিষ্ঠান যদি শুরু থেকেই তার পক্ষে শক্ত অবস্থান না নিত এবং সেটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় না হতো, তাহলে ডিসি সুলতানা তার সালতানাতে এখনও বহাল তবিয়তেই থাকতেন। উপরন্তু, কুড়িগ্রামের সাংবাদিকদের একটি সুবিধাভোগী/সুবিধাবাদী অংশ হয়তো ‘ডিসি স্যারের’ রুমে গিয়ে ওই নির্যাতিত সাংবাদিকের গুষ্ঠিই উদ্ধার করতেন। কিন্তু, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া এখন অনেক কিছু কঠিন করে দিয়েছে। কে কখন কী ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে, তা বোঝা মুশকিল।
সুতরাং, মনিরামপুরের ঘটনার ছবি না থাকলে এবং এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল না হলে সাইয়েমা হাসান এখনও সেখানে বহাল তবিয়তে থাকতেন এবং আজকেও হয়তো ‘ব্লাডি সিভিলিয়ানদের’ শায়েস্তা করতে তিনি তার সরকারি ক্ষমতাবলে বাবার বয়সী আরও কিছু লোককে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। বরং, এই দৃশ্য যারা দেখেতেন তারা যদি বিষয়টা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনাও করতেন, তাতেও তার কিছু হতো না। এমনকি তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনি সহকর্মীদের সহায়তায় পার পেয়ে যেতেন (অতীতে তাই হয়েছে)। এখানে ‘বিপত্তিটা’ বাঁধিয়েছে ফেসবুক।
বিপত্তি যাই হোক, জনপ্রশাসনে এইসব কর্মচারীদের ক্ষমতা ও সমস্যার উৎস চিহ্নিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সমস্যা কি তাদের প্রশিক্ষণে? বিসিএস এর মতো অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাস করে যারা প্রশাসনের কর্মচারী হন, তাদের অ্যাকডেমিক যোগ্যতা নিয়ে নিশ্চয়ই কারও প্রশ্ন নেই। তারা প্রচলিত অর্থে মেধাবীও। কিন্তু, মেধাবী হলেই যে তিনি মানবিক, সংবেদনশীল আর ভদ্র হবেন, এমনটি নাও হতে পারে। সমস্যা যদি তাদের প্রশিক্ষণে হয়, তাহলে সব কর্মচারীর একই হওয়ার কথা। তা তো হয় না।
মনিরামপুরের এই ঘটনার পরদিনই রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের একটি ছবি ফেসবুকে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বয়স্ক মানুষদের কীভাবে সম্মান দিচ্ছেন এবং এই লকডাউনকালে গরিব মানুষের পাশে গিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। তার মানে সমস্যাটা প্রশিক্ষণে নয়। বরং, কে কীভাবে বেড়ে উঠেছেন, পরিবারে কী শিখেছেন— এসবের উপরেও অনেকটা নির্ভর করে।
তবে, আমাদের প্রশাসনে যেহেতু ব্রিটিশ আমলের তথা কলোনিয়াল একটা লিগেসি আছে, ফলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নিজেদের জমিদার ভাবার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এটা প্রশাসনের কাঠামোগত সমস্যা। কিন্তু, এই কাঠামো পরিবর্তনের খুব একটা চেষ্টা হয়েছে বলে মনে হয় না। আর এই কাঠামোর কারণেই বোধ হয় তারা যে জনগণের কর্মচারী বা সেবক, সেই বোধটি তাদের ভেতরে জাগ্রত হয় না।
অনেক সময় সরকারের আচরণেও মনে হয়, তারা বুঝি গণকর্মচারীদের কাছে জিম্মি। বিশেষ করে প্রতি বছর যখন ডিসি সম্মেলন হয়, তখন সেখানে ডিসিরা যেসব দাবি দাওয়া তোলেন (এমনকি তারা বিচারিক ক্ষমতাও চান) তাতে মনে হয়, রাজনীতিবিদরা নন, বরং দেশটা আমলারাই চালান। বাস্তবতা হয়তো সেরকমই। কিন্তু, এখানে পলিটিক্যাল লিডারশিপের দায়িত্ব অনেক। তাদের শরীরি ভাষা আর আচার-আচরণে যদি প্রশাসনের লোকেরা ভয় না পায়, যদি কর্মচারীরা মনে করে যে সরকার তাদের ক্ষমতায় ভর করে টিকে আছে, তাহলে প্রশাসনের শৃঙ্খলা বজায় রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
আমাদের প্রশাসনের কাঠামোগত সমস্যার একটা বড় জায়গা ক্ষমতা-সংস্কৃতির চক্র। কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনও চাকরির শুরুতে এসি ল্যান্ড ছিলেন। উপরমহলের নজর বা মনোযোগ পেতে হয়তো তাকেও নানারকম বীরত্ব দেখাতে হয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি শক্ত অফিসার হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। মনিরামপুরের সাইয়েমাও চাকরিতে যোগদানের পরে বোধ হয় এই পদ্ধতিটা বুঝে গেছেন। নিজের বীরত্ব জাহির করতে গিয়ে প্রবীণদের প্রকাশ্যে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন যাতে মানুষ তাকে ‘কড়া অফিসার’ বলে খেতাব দেয়। এভাবে হয়তো তিনি দায়িত্ব ‘কঠোরভাবে’ পালনের পুরস্কার হিসেবে একসময় ডিসি হয়ে যেতেন।
আমাদের প্রশাসনের কাঠামোগত সমস্যার আরেকটি প্রবণতা ‘কর্মকর্তা’ ও ‘স্যার’। সরকারিগণ কর্মচারীগণ নিজেদেরকে ‘কর্মকর্তা’ ভাবতে পছন্দ করেন এবং প্রত্যাশা করেন, যে জনগণের করের পয়সায় তাদের বেতন হয়, সেই জনগণ তাদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করবে। ‘স্যার’ না বললে তারা ‘মাইন্ড’ করেন এবং সেবা দিতে বিরত থাকেন— এমন ঘটনাও গণমাধ্যমে এসেছে। ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল: ‘ইউএনওকে স্যার না বলায় অশালীন আচরণ’। ওই বছরই পাবনার একজন সাংবাদিক বেড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘ম্যাডাম’ না বলে ‘আপা’ বলে সম্বোধন করায় রোষানলে পড়েন (চ্যানেল আইন অনলাইন, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮)। এসব কারণে সাধারণ মানুষ সেবা নিতে গিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মচারী তো বটেই, অনেক সময় পিয়নদেরও স্যার বলে সম্বোধন করে।
কিন্তু, এখন আইন সংশোধনের সময় এসেছে যে, গণকর্মচারীরা জনগণকে কী বলে সম্বোধন করবেন। উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রে সরকারি কর্মচারীরা সেবা নিতে যাওয়া নাগরিকদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। বাংলাদেশেও এখন সরকারি কর্মচারী আইন সংশোধন করে সেখানে ‘সম্বোধন’ নামে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা দরকার, যেখানে স্পষ্ট বলা থাকবে, ‘সেবাগ্রহীতাদের সংশ্লিষ্ট অফিসার/কর্মচারী স্যার বলে সম্বোধন করিবেন’। এই আইন করা হলে গণকর্মচারীদের অহঙ্কার কমবে।
একজন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা এসি ল্যান্ডও যখন সেবা নিতে যাওয়া পানের দোকানদার বা রিকশাচালককে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করবেন, তখন ওই অফিসার/কর্মচারী নিজেকে জনগণের প্রভু বা জমিদার ভাববেন না। তিনি সবসময় নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবেই ভাববেন। তিনি গলা উঁচু করে কথা বলার সাহস পাবেন না। তিনি মনে করবেন যে, এই সাধারণ মানুষের করের পয়সায়ই তার বেতন হয়। অতএব, তাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে। তাদের ইজ্জত করে কথা বলতে হবে। কারণ তারাই মালিক।
সাংবাদিক মশিউল আলম ফেসবুকে লিখেছেন: ‘জনপ্রশাসন ইতরমুক্ত ঘোষণা করুন।’ এখন এটাই কাজ। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই সময়ে প্রশাসনের লোকজনের বিরুদ্ধে যাতে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামতে না হয়, সেজন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ইতর কর্মচারীদের চিহ্নিত করে তাদের গুডবাই বলতে হবে। একইসঙ্গে পরিস্থিতি উন্নতি হলে সংসদের আগামী অধিবেশনেই সরকার গণকর্মচারী আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
আমীন আল রশীদ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, রংধনু টেলিভিশন।