শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে ‘করোনা ভাইরাস ’ইস্যুতে সরকারি বরাদ্দ পেল ১৫৮ মেঃ টন চাল, ৭লক্ষ ৯০হাজার টাকা এবং ব্যক্তি-বে-সরকারি সংস্থা থেকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগরে এ বরাদ্দ চাহিদার তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শ্যামনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম জানান, গত ২৫ মার্চ হতে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বে-সরকারি পর্যায়ে প্রাপ্ত চাল ও টাকা শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়নের হতদরিদ্র,আশ্যয়ণ প্রকল্প অধিবাসী, সিপিপি সদস্যবৃন্দ, মুন্ডা সম্প্রদায়ের পরিবার সহ বিভিন্ন গরিব ও অসহায় নানান পেশায় নিয়েজিত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে অবশিষ্ঠ রয়েছে সাড়ে ২৮ মেঃ টন চাল, ১লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য বাবদ ৪০হাজার টাকা। জরুরী বিশেষ প্রয়োজনে অবশিষ্ঠ চাল ও টাকা যথাযথ বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ,ন,ম আবুজর গিফারী জানান, সরকারি বরাদ্দকৃত চাল বিতরণের সাথে আলু, সয়াবিন তৈল, ডাল, কুমড়াসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, মাস্ক ও পরিষ্কার পরিছন্নতার জন্য ক্ষার যুক্ত সাবান বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় এমপি এস, এম, জগলুল হায়দার, উপজেলা চেয়ারম্যান এস, এম, আতাউল হক দোলন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ,ন,ম আবুজর গিফারী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন সমূহের ট্যাগ অফিসারদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ সরকারি নীতিমালা অনুসারে স্বচ্ছতার সাথে খাদ্যশষ্য ও ত্রাণ বিতরণ করেন। করোনা দূর্যোগে শ্যামনগরের ১২ হাজার ৯ শত ৫০পরিবার এ ধরনের সাহায্য পেয়ে তাদের কষ্ঠ অনেকটা লাঘব হয়।শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার বাবু (পিপি) ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় করোনা ইস্যুতে বাড়িতে থাকা গরীব ও অসহায়দের খিচুড়ীর ব্যবস্থা করেছিলেন। শ্যামনগরের অধিকাংশ জনগণ হতদরিদ্র, নিম্ম আয়ের ব্যক্তি হওয়ায় ‘করোনা’ ইস্যুতে অধিকাংশ লোক বাড়িতে থাকায় তাদের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদ সাতক্ষীরাবাসীর জন্য বরাদ্দ বেশী করতে আহবান জানিয়েছিলেন।শ্যামনগর উপজেলায় বরাদ্দকৃত পরিমান অধিকতর বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
পূর্ববর্তী পোস্ট