যশোর, কেশবপুর প্রতিনিধি : যশোর কেশবপুরে কাঁচামরিচ সহ সবজির দাম হঠাৎ আকাশচুম্বী। কেশবপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায় কাচা মরিচ কেজি প্রতি প্রায় ২ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মহামারি করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত, জনজীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে জনসাধারণ। কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ টাকা এবং সব ধরনের সবজির দাম তিন থেকে চার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সবজির দাম।
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ইচ্ছামাফিক দাম বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কেশবপুর বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, খিরাই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, করোল্লা ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কাকরল ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ আগে কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, খিরাই ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, আলু ৩২ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, উচ্ছে ৫০ টাকা, করোল্লা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কাকরল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কেশবপুর বাজারে আসা এক ক্রেতা মোরসেদ আলম বলেন, করেনাকালীন সময়ে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি অন্তত তিন টাকা এবং কাঁচা মরিচের দাম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আর এক ক্রেতা রাসেল বলেন, করোনাকালীন সময়ে অধিকাংশ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে আর এভাবে দাম বাড়তে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে এজন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্রেতারা। বাজারে আসা ক্রেতারা আরো বলেন, সবজির বাজারে বেসামাল অবস্থা।
৫/৬ দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের সবজির দামও। বাজারে আসা ক্রেতা সুমন বলেন, করোনার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এভাবে বারবার বাড়তে থাকলে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের অনাহারে দিন কাটবে ।
বাজার দর মনিটরিং যদি আরো জোরদার করা হয় তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে নেমে আসবে বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা।