অনলাইন ডেস্ক : ভরা মৌসুমে অতি লোভের আশায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী করে এখন কপালে হাত ব্যবসায়ীদের। হিসেব কষে দাম মেলাতে পারছেন না এই অতিলোভীরা।
দেশের হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজ। চলছে ভরা মৌসুম। অথচ ভারত পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দেয়ার পর আমদানি করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। গত সাড়ে তিন মাস পর তারা পেঁয়াজ আমদানী করেছেন। এতে বিপদে পড়েছেন দেশি কৃষকরা। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করে স্বস্তিতে নেই আমদানিকারক অতিলোভী ব্যবসায়ীরা। বাজারে এখন খুব বেশি চাহিদা নেই ভারতীয় পেঁয়াজের।
অনেকেই পেঁয়াজ আমদানী করে চাহিদা না থাকায় খালাস করতে পারছেন না। এতে অনেকের পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। উত্তরাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে খবর নিয়ে জানা গেছে ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ কিনছেন। যারা বিদেশী পেঁয়াজ দোকানো উঠিয়েছেন তারা সেটা বিক্রি করতে পারছেন না।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের হাটবাজারে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, দামও কম। আর তুলনামূলক বেশি দাম হওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আবার কারওয়ানবাজারের আড়তদাররা ভারতীয় পেঁয়াজ বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন।
পূজা উপলক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশের চালান পাঠায়। ইলিশ পেয়েই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলতে সেদিনই হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। গত বছরের শেষদিকে এসে (২৯ ডিসেম্বর) এ রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি। এরপর ২ জানুয়ারি থেকে অন্যান্য বন্দরের মতো সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর, দিনাজপুরের হিলি বন্দর, চট্টগ্রাম নৌ বন্দর দিয়েও ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করে দেশে।
পেঁয়াজের বড় পাইকারি বাজার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার। সেখানকার আড়তদার মেসার্স সাকিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকায় আর খুচরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা। আর মেহেরপুর জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম আরো কম। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ২০-২২ টাকা ও খুচরা ২৫ টাকা। হল্যান্ডের পেঁয়াজ পাইকারি ১৯-২০ টাকা, খুচরা ২০-২১ টাকা। কিন্তু, ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি ৩৬-৩৭ টাকা ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
তিনি আরো জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না। এগুলো কিনে আড়তে রেখে লোকসানে পড়েছি। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৯ টাকা দরে কিনে আমি বিক্রি করছি ৩৫ টাকায়। তবুও মানুষ কিনছে না। আড়তে ২০০ বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে এখন বিপদে পড়েছি।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা না থাকায় আমদানি করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।