নিজস্ব প্রতিনিধি :
আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতা দরগাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ মিরাজ আলীকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বখতিয়ার উদ্দিন রাজুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিরাজের অপকর্মের খতিয়ান তুলে ধরে অভিযোগ করেছেন।
দরগাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দীন রাজুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি হাউব্রিড নেতা ৪ নং দরগাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী প্রায় হাফ ডজন মামলার আসামী। তার অত্যাচারে এলাকার জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এলাকার ত্যাগী প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঞ্চিত-নিগৃহিত হচ্ছে। হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মিরাজ আলী বিগত ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু’র হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ও ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপি’র আমলে বিভিন্ন মামলা থেকে অব্যহতি পেতে তার আবেদনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান, এমপি যথাক্রমে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মাওঃ রিয়াছাত আলী ও কাজী আলাউদ্দিন সুপারিশ করেন। পটপরিবর্তন হলে চতুর শেখ মিরাজ আলী ২০১০ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। পরে রহস্যজনকভাবে ২০১৩ সালে তিনি ৪নং দরগাহপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
শেখ মিরাজ আলী সভাপতি হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এমনকি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাথে একটি সভাও করেনি। ফলে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি হাউব্রিড নেতা শেখ মিরাজ আলীর কারণে দরগাহপুর ইউনিয়ন আ’লীগের দলীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যে কারনে হতাশ হয়ে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে শেখ মিরাজ আলী অশিক্ষিত হয়েও অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে দরগাহপুর কলেজিয়েট হাইস্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পদ দখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনিত করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ৪নং দরগাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে মিরাজ আলীকে বহিষ্কারের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সেতুমন্ত্রীসহ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।