শ্যামনগর প্রতিনিধি : কোভিট১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের টিকাদান কার্যক্রমের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়নের এক, দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের টিকাদান কার্যক্রম চলমান ছিল।
বুধবার সকাল দশটার দিকে সোনাখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পতিত পাবন মন্ডল ও তিন নম্বর ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদ গণ টিকাদান কার্যক্রমের বাধা সৃষ্টি করে । সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষদেরকে মারধর করে।
টিকা নিতে আসা সুমন জানান, ইউপি সদস্য রা তাদের মন গড়া আইন চালু করে সিল সিগনেচার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের টিকা নিতে বাধা দেয়। সকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ টিকা নিতে এসে তাদের মনগড়া আইনের কবলে ভোগান্তিতে পড়ে।
স্থানীয় সুমন তাদের এই টিকাদান কার্যক্রমের সিলমোহর ব্যবহার করার প্রতিবাদ করায় মৃত এফাজ তুল্লা গাজীর পুত্র আব্দুল আজিজ, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, ফিরোজের স্ত্রী নাজমা বেগম, আব্দুল আজিজ এর স্ত্রী আফরোজা বেগম।
তাদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে আহতরা স্থানীয়দের সহায়তায় শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নজরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার অজয় কুমার সাহা জানান, টোকেন এর মাধ্যমে টিকা দেয়ার কোনো নিয়ম নেই কিন্তু মেম্বারা কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি থাকায় তাদেরকে দেখভাল করে কার্যক্রম চালানোর কথা। সেখানে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ১৫০ জনকে টিকা দেওয়ার পরে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্যদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।