শ্যামনগর প্রতিনিধি :
হিন্দু ধর্মের প্রথা অনুসারে বারুণী তিথিতে গঙ্গা স্নান উৎসব বা বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু ধর্মের মত অনুসারে বরুণের কন্যা বারুণী। বরুণের পূজা বা গঙ্গাপূজা-সংক্রান্ত উৎসবকে বারুণী পূজা বা বারুণী উৎসব বলা হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসে বারুণী তিথিতে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেই অনুসারে বুধবার সাতক্ষীরার জেলার শ্যামনগর উপজেলার সোনারমোড় নামক স্থানে যমুনা নদীর পাড়ে বারুণী পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বারুণী পূজা উপলক্ষে বুধবার ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ সোনারমোড়ে যমুনা নদীর( যা এখন খালে পরিনত হয়েছে) তীরে অবস্থিত বারণী ঘাটে এসে স্নান করে পূজা করেন। এছাড়াও যাদের বাবা,মা বা আত্মীয় স্বজন মারা গেছে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় যজ্ঞ করে পিন্ড দান কারেন। বারণী স্নান বা পূজা উপলক্ষে মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি, মাটির হাড়ি পাতিল, দা বটি, শীতল পাটি, বাঁশের তৈরি ঝোড়া, চালন, কূলা, কাপড়ের, শাখা সিদূরের দোকান সহ বিভিন্ন দোকান বসে। বারণী উপলক্ষে মা,কাকী, ঠাকুমারা নতুন শাখা কিনে হাতে পরেন।
উক্ত পূজা ও মেলা পরিদর্শন করেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক অনাথ মন্ডল, যুগ্ম আহবায়ক সুজন কুমার দাস, হিমাংশু মন্ডল, সদস্য সচিব উৎপল কুমার মন্ডল প্রমুখ
কথিত আছে যে এ তিথিতে গঙ্গা স্নান করে এক মনে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা প্রার্থনা করলে ঈশ্বর সব পাপ ক্ষমা করে দেয় এবং সে ঈশ্বরের অপার কৃপা লাভ করে। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ করা যায়। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপর নাম হল বারুণী। বারুণী স্নান বলতে এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। এই স্নান টি বস্তুত্ব হিন্দু ধর্মীয় একটি পূন্য স্নান উৎসব।জীব জগতের পঙ্কের মধ্যে পথ চলতে গিয়ে পাপাচারে পূর্ণ্,ক্লেদাক্ত মুনস্যকুল এই পূণ্য স্নানের মধ্যমে পাপ মুক্ত হয়।#