নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করে থানাপুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা । প্রতারক খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার গজালিয়া গ্রামের গাউছুল আলম ভুট্টোর স্ত্রী মিতা আক্তার হনুফা (২৪)।
শনিবার আশাশুনি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতা তাকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার সহযোগী আরেক সদস্য আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ডুমুরপোতা গ্রামের করিম গাজীর ছেলে ইব্রাহীম (২৭) কৌশলে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় মহাজনপুর গ্রামের তারিকুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী আজমিরা খাতুন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় উপরোক্ত দুই প্রতারককে আসামী করে এজাহার দাখিল করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের কাছে নিজেদের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পে চাকরী করেন বলে দাবী করে আসছিলো। প্রকল্প থেকে সমিতির মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যকে গরু/ছাগল দেওয়ার কথা বলে মাথাপিঁছু ১ হাজার ৬০ টাকা করে উত্তোলন করছিলো।
শনিবার সকাল প্রতারক চক্রের সদস্য ইব্রাহীম গাজীর বাড়ি থেকে টাকা উত্তোলন করা অবস্থায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা প্রতারক মিতাকে আটক করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইব্রাহিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আজমিরা খাতুন বলেন, প্রতারক মিতা তার সহযোগী ইব্রাহিমকে নিয়ে গতবছরের ১৫ অক্টোবর আমার বাড়িতে এসে নিজেকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। এরপর ১ হাজার ৬০ টাকা দিয়ে সমিতির সদস্য হলে তারা গরু-ছাগল দেওয়ার কথা বলে। সে মোতাবেক আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে ৩টি গরু দিবে বলে আমার থেকে ৩ হাজার ৮শ টাকা নেয়। পরে জানতে পারি তারা মধ্যম চাপড়া গ্রামের রবিউল সরদারের স্ত্রী মাসুমা খাতুন, সাইদ সরদারের স্ত্রী আনজিরা খাতুন, ইব্রাহিম সরদারের স্ত্রী মমতাজ খাতুন, হায়দার গাজীর স্ত্রী পারুল খাতুন, মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী নাজমা খাতুনের কাছ থেকে একই কথা বলে ১ হাজার ৬০ টাকা হারে উত্তোলন করে পরে আসবে বলে চলে যায়। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও তারা আর ফিরে আসেনি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে জানতে পারি প্রতারক মিতা ডুমুরপোতা গ্রামের তার সহযোগি ইব্রাহীমের বাড়িতে এসে আবারও একই কথা বলে টাকা উত্তোলন করছে।
বিষয়টি স্থানীয়রা বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানাকে জানালে তিনি ইউপি সদস্য শ্রাবন্তী বৈরাগী ও গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রতারককে উদ্ধার করে থানাপুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) জানান- মিতার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ পেয়েছি। প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
০৫.১১.২০২২