নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বেঁড়িবাধটি এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ১০ হাজার লোক বাধটি সংস্কারে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, জোয়ারের প্রবল চাপে সেখানে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি। পানি আটকা হয়ে পড়েছে তিন হাজার পরিবার। প্লাবিত গ্রাম গুলো হল, কুড়িকাউনিয়া, কল্যাণপুর, শ্রীপুর, সনাতনকাটি, প্রতাপনগর ও তালতলা। এর আগে সোমবার ভোররাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ৭/২ পোল্ডার সংলগ্ন এলাকায় কপোতাক্ষের প্রায় দেড়’শ ফুট বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই বাধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রবল জোয়ারের চপে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার ভোর রাতে বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে গতকাল সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ে, পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
তারা আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় বেড়িবাধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেড়িবাধটি সংস্কার করা না গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বেঁড়িবাধটি সংস্কার করার জন্য ভিতর দিয়ে একটি ৩০০ মিটারের রিংবাধ দেয়া হচ্ছে। সেখানে ঠিকাদার ও স্থানীয় লোকসহ ১০ হাজার মানুষ কাজ করছেন। ইতিমধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পর জোয়ার এসে যাওয়ায় আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার বাকী অংশের কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট