নলতা প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার মাঘুরালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামী সালাউদ্দিন (৩৩) সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার মাঘুরালী গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র। সে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
সরেজমিনে যেয়ে ঘটনার বিবরণে আহত সালাউদ্দিনের মা ফজিলা খাতুনের কাছ থেকে জানা যায়, ১৪বছর আগে পার্শ্ববর্তী আবু বকরের মেয়ে আফরোজা খাতুনের বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনের তাদের ২টি সন্তান হয়। দিনমজুর সালাউদ্দিন সংসার চালাতে কর্মের তাগিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে প্রায় ১ বছর আগে ঢাকায় কাজ করতে যায়। পরবর্তীতে ঈদের সময় তারা বাড়ি আসার পর সালাউদ্দিন আবারও ঢাকায় যেতে চাইলে তার স্ত্রী তার সাথে না যেতে চাইলে সে একা কাজ করতে যায়। দীর্ঘদিন পর সালাউদ্দিন গত রবিবার বাড়িতে চলে এসে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তার স্ত্রী আফরোজার সাথে বড় ভায়রা আক্তার সরদারের অবৈধ সম্পর্ক আছে। সে শশুড় বাড়িতে তার স্ত্রীর কাছে গেলে তাকে পাত্তাদিতে চায়নি স্ত্রী আফরোজা খাতুন। এসময় সালাউদ্দিন আফরোজার দুলাভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরধরে পরদিনে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে সালাউদ্দিন তার স্ত্রীর হাত ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্ত্রী আফরোজা খাতুনের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার উদ্যেশ্যে টান মারে। সালাউদ্দিন চিৎকার করলে তাকে ছেড়ে দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় সে বাড়িতে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার পুরুষাঙ্গে ৪টি সেলাই করতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগি সালাউদ্দিন জানায়। সালাউদ্দিনের ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাবি সুফিয়া খাতুনও একই কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।
এব্যাপারে আফরোজা খাতুন জানায়, তার স্বামী (সালাউদ্দিন) দুলাভাইয়ের (আক্তার সরদার) সাথে অবৈধ সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সে আমাকে ফাসাতে নিজের লিঙ্গ নিজেই কেটে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট