অনলাইন ডেস্ক: জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে এবার ফিলিস্তিনকে দেওয়া অনুদান বন্ধের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এসব অনুদানের বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘কোনো ধরনের কদর বা সম্মান’ পাচ্ছে না। এ ছাড়া ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনায়ও আগ্রহী নয় বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।যদিও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেওয়ার কোনো বৈধতা নেই। এর মাত্র একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে দেওয়া সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়ে বলেন, এর বিনিময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছ থেকে ‘শঠতা আর প্রতারণা’ ছাড়া কিছুই পাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে লেখেন, ‘বিনা কারণে বিলিয়ন ডলার খরচ শুধু আমরা পাকিস্তানেই করছি না।’‘উদাহরণস্বরূপ ফিলিস্তিন, যেখানে আমরা প্রতিবছর একশ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছি। কিন্তু বিনিময়ে কোনো কদর বা সম্মান পাচ্ছি না। এমনকি তাঁরা ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি আলোচনাতেও রাজি না।’‘ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনার একটি কঠিন পর্যায় হচ্ছে জেরুজালেম। আলোচনার টেবিলে ইসরায়েল হয়তো এর জন্য আরো অনেক কিছুই দেবে।’‘কিন্তু ফিলিস্তিন শান্তিচুক্তি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী আলোচনার ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী নয়। তাহলে কেন আমরা ভব্ষ্যিতেও এ ধরনের অনুদান দিয়ে যেতে থাকব’, যোগ করেন ট্রাম্প। গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে আরো সংকটময় করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। হুমকি-ধমকি সত্ত্বেও জাতিসংঘে এ-সংক্রান্ত ১২৮টি দেশ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
জেরুজালেম পবিত্র ভূমি হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় দেশেই গুরুত্বপূর্ণ। এর দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশের দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। ইসরায়েল সব সময়ই জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেম ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে বলে দেশটির নেতারা বলে আসছেন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে।