প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার থেকে আর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকছে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি।
সেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) প্রশ্ন বাদ দিয়ে শতভাগ ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এই ‘যোগ্যতাভিত্তিক’ প্রশ্ন পদ্ধতিতে প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখা, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন এবং রচনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে।
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করলেও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বাতিলের নতুন সিদ্ধান্ত এল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে প্রশ্নের কাঠামো এবং নম্বর বণ্টন কেমন হবে, তা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
গতবছর প্রাথমিক সমাপনী পারীক্ষার প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্ন পরীক্ষার আগের রাতে বা পরীক্ষার সকালে ফাঁস হয়ে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এ বছরের এসএসসি পারীক্ষাতেও।
প্রশ্নফাঁস মহামারির আকার ধারণ করায় প্রশ্ন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে সেখান থেকে সহজেই বহু নির্বাচনী অংশের উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি থেকেও প্রাথমিক স্তরের পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন।