নিজস্ব প্রতিনিধি : লাল-সাদা পোশাক আর গোলাপ-গাঁদা ফুলে রাঙিয়ে কলারোয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে।
বর্ণিল আয়োজন আর উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির পুরাতন ইতিহাস-ঐতিহ্যের ১৪২৫ পহেলা বৈশাখ উদযাপন।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি পহেলা বৈশাখ বাঙালী জাতির জন্য আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। তাই দিনটি ঘিরে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয় নানান কর্মসূচি।
নানান বয়সী মানুষের লাল-সাদার রঙীন পোশাক আর গোলাপ-গাঁদা ফুলের সন্নিবেশ দিনভর আলাদা একটা আমেজের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশুদের প্রাণখুলে উৎসব-ইমেজ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ শনিবার ভোরে প্রভাতী সঙ্গীতের মাধ্যমে বর্ষবরণের উৎসবের সূচনা হয়। স্থানীয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন।
পরে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধিজনদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় শোভা পায় গ্রামীন বাংলার নানান ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন।
এর ফুটবল মাঠে আয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনোমুগ্ধকর গ্রামীন বাংলার ডিসপ্লে। পুরষ্কারও প্রদান করা হয় তাদের মাঝে। অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাও।
প্রতিবারের মতো এবারো কলারোয়া পাবলিক ইন্সটিটিউটে আয়োজন করা হয় গ্রামীন বাংলার অন্যত ঐতিহ্য পান্তা ভোজন। দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পান্তা ভোজনে অংশ নেন।
ওই সকল আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হাজারো আনন্দপ্রিয় মানুষের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনিরা পারভীন, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন ও সেলিনা আনোয়ার ময়না, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক আমানুল্লাহ আমানসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সুধিজন ও সর্বোপরি সাধারণ মানুষ।
ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের শাড়ি পরিধান ছিল লক্ষণীয়। ছোট শিশুরা বাদ যায়নি পাঞ্জাবি-শাড়ি থেকে। যোগ হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের বিভিন্ন নমুনাও।
এদিকে, দিনভর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হাজারো সাধারণ জনতা, শিক্ষার্থী ও কোমলমতি শিশুরা।
লাল-সাদা পোশাক আর গোলাপ-গাঁদায় কলারোয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন
পূর্ববর্তী পোস্ট