ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের অর্থ দাবি ভিত্তিহীন, উল্টো বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সচিবালয়ে নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, যেহেতু বাংলাদেশই তাদের কাছে টাকা পায়। সেই দাবিতে বাংলাদেশ যেন সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য এমন কথা বলছে তারা।
মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ টেনে তিনি আরো বলেন, ৭১ সালে তারা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এদেশের অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি সাধন করেছে। পাশাপাশি ৭১ সালের আগে যেসব মিল কারখানা তারা চালাতো সেসব থেকে যতো আয় হতো, তার কোনো কিছুই বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্যয় না করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিত। তাই এখন বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের এমন অর্থ দাবি মিথ্যা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা (৯.২১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রূপি) টাকা পাওনা আছে দাবি করে তা ফেরত চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এসব সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করেছে তারা।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ৭১ পূর্ববর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের যে অর্থ পাওনা ছিল তা বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত পাওনা নিরুপণ করা হয়েছে।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান (এসবিপি) দেশটির সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে তাদের বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে পাওনা নির্ধারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসবিপির হিসাবে, বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে মোট ১ হাজার ৫২৫ কোটি রুপি পাবে পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের কাছে ৭০০ কোটি আর ভারতের কাছে পাবে ৬০০ কোটি রুপি।