নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গনেশপুর, মিনহাজকাটী, রঘুরামপুর, তেঘরিয়া, উচ্ছেপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও মিটার বসানোর নাম করে এলাকার নিরীহ গরীব অসহায় মানুষদের কাছ থেকে হতে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই চাঁদা আদায়ের সঙ্গে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমাতসীন দলের কতিপয় দূর্ণীতিবাজ নেতা কর্মী ছাড়া বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ।
গত পহেলা এপ্রিল এলাকাবাসীর পক্ষে সফিকুল ইসলামের সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাটকেলঘাটা জেনারেল ম্যানেজার বরাবর অভিযোগ থেকে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর হইতে কালিগঞ্জ উপজেলার অবহেলিত ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গনেশপুর, মিনাজকাটী, তেঘরিয়া, রঘুরামপুর উচ্ছেপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে আজও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌছাইনি। ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম,শওকত হোসেনের নির্দেশে ইউপি সদস্য আব্দুর রব, খায়রুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা লতিফুর রহমান লাভলু, মেহেদী হাসান, শাহাদাৎ হোসেন, শাহা নেওয়াজ মাষ্টারের নেতৃত্বে এলাকার অত্র ৫-৬ গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে খুঁটি, তার ও মিটারের নাম করে পরিবার প্রতি দুই বছর আগে থেকে মিটার প্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গনেশপুর গ্রামের আনছার গাজীর কাছ থেকে রবিউল ইসলাম, সালাউদ্দিন, গনি সরদার, আলী শেখ ও শাজাহান আলী তিন হাজার, নেছার মোড়ল চার হাজার, রফু মোড়ল চার হাজার, গণি সরদার তিন হাজার, রহিমা খাতুন, মুনজুর গাজী, সিদ্দিক গাজী, নুর মোহাম্মাদ, দাউদ আলী, বসু গাজী, খোকন গাজী, জহুরা খাতুন দু’ হাজার টাকা , জোবাহার আলী মোড়ল ও অজেদ সরদার পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন।
দুই বছর আগে টাকা নিলেও এই পর্যন্ত চেয়ারম্যান বা মেম্বররা বিদ্যুৎ এর জন্য কিছুই করেননি। বরং ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ঘোষনার পর হইতে এলাকায় ইতি মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি, তার ও মিটার বসানো সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেনের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানান। তবে মেম্বর খায়রুল ইসলাম টাকা উঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে দেওয়ায় আমি সেটা সাথে সাথে চেয়ারম্যানের নিকট দিয়ে দিয়েছি। মেম্বর আব্দুর রব টাকা উঠানোর কথা স্বীকার করে বলেন চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মত বিদ্যুৎ অফিসে দেওয়া হয়েছে। তবে যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান জানান চেয়ারম্যান এবং মেম্বরের নির্দেশে বিদ্যুতের খুঁটি, মিটার এবং তারের জন্য খরচ বাবদ টাকা উঠাতে বললে আমি ৫০ হাজার টাকা উঠাইয়ে মেম্বর খায়রুলের নিকট জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত সমিতি কালিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু আশরাফ মোঃ সালেহ বলেন, নতুন যোগদান করায় এ সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই।