বিনোদন সংবাদ : মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর খবর। এরপর দুটি টেলিভিশনও চ্যানেলেও প্রচার করা হয় জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর। সেই সূত্র ধরে চিত্রতারকারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে দেরি করেননি যে তিনি মারা গেছেন।
খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে এ খবর। অনুসারীরাও ছড়িয়ে দিতে থাকে সে খবর। ঠিক যখন খবরটিকে মিথ্যে ভাবার আর সুযোগ নেই তখনই সংবাদকর্মীরা ও টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেন যে মৃত্যুর খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী মিসেস রুনি জামান বলেন,’ফেসবুকে প্রায়ই গুজব ছড়ানো হয়। কিন্তু টেলিভিশন চ্যানেলে এই প্রথম উনার মৃত্যুর খবর দেওয়া হলো- এটা খুবই দুঃখজনক। টেলিভিশন চ্যানেল যদি ভুল খবর দেয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?’
তিনি জানান এটিএম শামসুজ্জামান সুস্থ আছেন। বাসাতেই আছেন। ঈদে নাটক-চলচ্চিত্রে কাজ করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রুনি জামান বলেন, ‘উনি রমজান মাসে বাসাতেই থাকেন। এসময় কোন শুটিং করেন না।’
এটিএম শামসুজ্জামান নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি ভিডিও বার্তায় জানালেন টেলিভিশন চ্যানেলে কীভাবে দেয় না জেনে এমন খবর দিইয়েছে? তিনি ভিডিও বার্তায় বাসার নম্বর দিয়ে বলেন, ‘এর আগেও আমাকে ৮-১০ বার মেরেছে, তারা ইতর প্রকৃতির। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি দেখছি টেলিভিশন চ্যানেলে আমার মৃত্যুর খবর। এটা কী ধরনের পেশাদারিত্ব? তারা তো অন্তত একবার আমাকে ফোন দিতে পারে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবারের গুজবটি ছড়ানো হয় একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে। যেখানে বলা হয়, ‘এটিএম শামসুজ্জামান বাথরুমে পরে গিয়ে মারা গেছেন, পুরো বাংলাদেশে শোকে ভাসছে।’ এরপর তা দ্রুত ছড়াতে থাকে।
চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন,’ইউটিউবের কিছু হারামি আমাদের গুরু সমতুল্য এটিএম শামসুজ্জামান ভাইকে মেরে ফেলার কথা বলে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আমাকেও এভাবে মেরে ফেলেছিলে। এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিরোধ করা হোক। পুলিশি আইন প্রয়োগ করা হোক। এটিএম ভাই আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছেন।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ফেসবুক ব্যবহারে সকলের সতর্ক হতে হবে। চিলে কান নিয়েছে আর চিলের পেছনে ছুটলাম এমনটা অন্তত শোবিজ সংশ্লিষ্টদের পরিহার করতে হবে। এভাবে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাঁদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।