শ্যামনগর প্রতিনিধি : পশ্চিম সুন্দরবনে কুখ্যাত হরিণ শিকারী জাতীয় পাটির (জাপা) কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আঃ সাত্তার মোড়লের সুন্দরবনে হরিণ হত্যা মিশন নতুন ভাবে মোড় নিয়েছে। ১ম পর্যায়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পরবর্তী পর্যায়ে পুলিশ বন্দুক মালিক সহ ৬ জনকে আসামী করে নতুনভাবে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-০৩। ৩ জন বন্দুক মালিক হলেন- কালিগঞ্জ থানার বন্দকাটি গ্রামে আঃ রশিদের ছেলে হাফিজুর রহমান (বন্দুকের লাইসেন্স নং- ৩৫৭০৮৩), এবং শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নে পাতাখালী গ্রামে আয়জুদ্দী ঢালির ছেলে আজিজ ঢালী (বন্দুকের লাইসেন্স নং- ৩৫৬৯৮৭) এবং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সিংহড়তলী গ্রামের মৃত আঃ সাত্তার সরদারের ছেলে সালাউদ্দীন ওরফে নবাব (বন্দুকের লাইসেন্স নং- ১৩৬০৯৩)।
মামলার আসামীরা হলেন- কদমতলা গ্রামে ইমান আলী গাজীর ছেলে মজনু গাজী, পাতাখালী গ্রামে আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ ও আয়জুদ্দীন গাজীর ছেলে আজিজ ঢালী, বন্দকাটি গ্রামে মৃত কোরবান মোড়লের ছেলে সাত্তার মোড়ল ও আঃ রশিদের ছেলে আঃ রহমান এবং সিংহড়তলী গ্রামে মৃত সাত্তার সরদারের ছেলে সালাউদ্দীন ওরফে নবাব।
মামলা সূত্রে এবং শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ আঃ মান্নান জানান, গত রোববার রাতে সুন্দরবনে দোবেঁকী এলাকায় বনদস্যু জাকির বাহিনী ডাকাতির খবর পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ দল অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করে। পরবর্তী পর্যায়ে তল্লাশি করে ৩ টি এক নলা বন্দুক, ৩ টি জবাইকৃত হরিণ ও একটি নৌকা জব্দ করে। আটককৃতরা হলেন- পাতাখালি গ্রামে আমজাদ গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ ও কদম তলা গ্রামে ইমান আলী গাজীর ছেলে মজনু গাজী। পুলিশ ধৃত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এলাকার মানুষের ভাষ্য হলো- ৩ টি বন্দুকের মালিক বৈধ লাইসেন্স ধারী। পুলিশ সেদিন ৩ টি বন্দুক জব্দ করলেও বৈধ মালিকদের সেখানে কেউ ছিল না। তাহলে অস্ত্রগুলি সেখানে গেল কিভাবে এবং কে নিয়ে গেল? মালিকদের খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। তাছাড়া ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ম্যানগোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক ও বাহক। সুন্দরবনকে ঘিরে পৃথিবীর মাঝে বাংলাদেশের যত পরিচিতি। এর সকল অস্তিস্থ আমাদের জাতীয় সম্পদ। বিশেষ করে প্রাণ বৈচিত্রে ভরা সুন্দরবনের অন্যতম অহংকার মায়াবী হরিণ। যা রক্ষা করার দায় দায়িত্ব আমাদের সকলের।
জাপা নেতা আঃ সাত্তার মোড়ল এদেশের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের অন্যতম নেতা। চাউর আছে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশি। একজন রাজনীতিবীদের কাছ থেকে সুন্দরবনের হরিণ শিকারের জন্য যাওয়া কতদুর যুক্তিযুক্ত এ প্রশ্ন সর্ব সাধারনের।
বনদস্যু সাত্তার মোড়লের নামে এবার অস্ত্র আইনে মামলা
পূর্ববর্তী পোস্ট