অপ্রতিম রহমান: মিয়ানমার অংশে নাফ নদীর কাদার তীরে উল্টে আছে শিশুর লাশ। তীরে এ রকম পাওয়া গেছে একাধিক শিশুর লাশ। সোমবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর উত্তরাঞ্চলে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
ছবিগুলো প্রকাশ করেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘রোহিঙ্গা ভিশন’। ‘আর ভিশন টিভি ডট কম’ নামে ওই সংস্থা ২১ এপ্রিল ২০১২ থেকে কাজ শুরু করে। আর ভিশনে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে নৌকায় নদী-সাগর পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। এসব নৌকায় গুলি করছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বার্মিজ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিয়ানমারের ওশেকেয়া নদীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের একাধিক নৌকায় গুলিবর্ষণ করে বিজিপি। এসব নৌকা করে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছিল রোহিঙ্গারা। ওই ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়। ডুবে যায় একাধিক নৌকা। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, তীরে উদ্ধার হওয়া লাশগুলো ডুবে যাওয়া নৌকার। এসব নৌকায় করে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা রাতে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছিল।
মংডু এলাকার এক বৃদ্ধ বলেন, ‘এসব শিশুর কী দোষ? কোন দোষে এসব নিরীহ মানুষকে এভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে? এসব শিশু তো এখনো জীবনই দেখল না!’
মংডুর উত্তরাঞ্চলের রেইমমাবিল গ্রামের মানুষ বেশি নির্যাতিত হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। বলা হয়, দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামে হত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণের মতো কাজ করছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থার পাঠানো সাহায্যও ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর এতে তিলে তিলে মারা যাচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুসহ দুর্বল মানুষরা।