অনলাইন ডেস্ক: জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ২২ জেলায় চেয়ারম্যান পদের জন্য কোনো ভোট হচ্ছে না। ৬১ জেলার মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর ৩৯টিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ৩৪ জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকি ৫ জেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র বা অন্য কোনো দলের লড়াই হবে। যেসব জেলায় চেয়ারম্যানরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেখানে শুধু সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট হবে।
শতাধিক ওয়ার্ডে সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অনেকে। ভোলায় চেয়ারম্যান, ৫টি সংরক্ষিত সদস্য ও ১৫টি সাধারণ সদস্য পদের সবক’টিতে একক প্রার্থী থাকায় সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ওই জেলায় ভোট গ্রহণ হবে না। রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন-
নারায়ণঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় একেএম ফজলে রাব্বি, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ঝালকাঠিতে সরদার মো. শাহ আলম, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।
নির্বাচন কমিশনের আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, ৩৬ জেলায় ৭৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগের। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।
২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ১৯০ জন প্রার্থী। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮৯৫ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩ হাজার ৫৬১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন ।