প্রেসবিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মালিকানা ও কোবলাকৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী গ্রামের মৃত আলহাজ্ব অমেদ আলী সরদারের ছেলে আলহাজ্ব এস এম রেজাউল করিম।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের ঝাপা মৌজায় ৩৩ একর ৭৭ শতক সম্পত্তি ১৯৫৭ সাল থেকে তিনিসহ ৩৩ জন ভোগ দখল করে আসছেন। ১৯৬৫ সালে ভুলবসত ওই সম্পত্তি অর্পিত গেজেট প্রকাশ করে সরকার। জানতে পেরে ২০০০ সালে সাতক্ষীরা সাব জজ ২য় আদালতে ও শ্যামনগর সহকারি জজ আদালতে পৃথক মামলা রুজু করা হয়। ২০০১ সালে আদালত সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সরকার ওই মামলায় নিম্ন আদালতে পরাজিত হয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌছালে ২০০১ সাল থেকে ওই জমির ডিসির বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে অর্পিত গেজেট প্রকাশিত হলে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে ওই সম্পত্তিতে হতে ৬ একর ৭ শতক সম্পত্তি ৩০২/৯২ নং ভিপি কেস মূলে ৯২সালের ২৮ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থেকে অবমুক্ত করা হয়। এই অবমুক্তি অদ্যবধী বহাল আছে। সে অনুযায়ী মাঠ জরিপ ফাইনাল প্রকাশিত হওয়ার পরও সরকার পরবর্তীতে সংশোধনী তালিকায় আনায় হাইকোর্টে ফের রিট করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে স্থাগিতাদেশ বজায় থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ৩৬৮ ভিপি কেসে সমুদয় সম্পত্তি ডিসিআর দেয় সরকার। অপরদিকে ৩০ মার্চ বিচারপতি রিপতি কুমার বিশ্বাস ৩১২৩ নং মামলায় ওই সম্পত্তিতে ডিসিআর স্থাগিতাদেশ দেন। এছাড়া ৩৩৫৬ নং কেসটি ট্রাইবুনালে নামঞ্জুর হলে হাইকোর্টের ৮৬২৩/২০১৫ নং রিটে স্থাগিতাদেশ আদেশ বহাল হয়। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে ২০১৬ সালের ১ জুন এডিসি অরুন কুমার, ও শ্যামনগর থানা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মঞ্জুরুল আলমের আদেশে এসিল্যান্ড আহছান উল¬্যা শারিফী ওই সম্পত্তি পুনরায় ডিসিআর দেন। এরপর হাইকোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে একটি ভাইলেশন কেস করা হলে গত ১৩ জুলাই হাইকোর্ট সমুদয় ডিসিআর স্থাগিত করে দেয় এবং এডিসি অরুন কুমার মন্ডল, এ্যসিল্যান্ড আহছান উল্যা শরিফী ও অফিস সহকারী নুরুল ইসলামকে ২৮ জুলাই সাড়ে ১০টায় সময় স্ব শরীরে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। নির্ধারিত দিনে উল্লেখিতরা হাইকোর্টে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া তারা ১ জুনের সমুদয় ডিসিআর ৯ জুন শ্যামনগর এসিল্যান্ড অফিস থেকে স্থগিত করেন। এরপরও উল্লেখিতরা পুনরায় উক্ত সম্পত্তি ২০১৫-১৬ ডিসিআর দিয়ে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি স্বাধন করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনার পর পাতাখালী গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্যা, পাখিমারা গ্রামের শাহাদত হোসেন, ঝাপা গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল ও চিত্ত মন্ডলসহ ১২/১৪ জন তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা আমার ও অন্যান্যদের ১০৮০ ও ১২৫৯ দাগের সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছে। ওই সম্পত্তি দখলবাজদের কবল থেকে মুক্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট