বিদেশের খবর: শ্রীলঙ্কার বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে স্বপদে পুনর্বহালে অসম্মতি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। রবিবার (২৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ অসম্মতি জানান তিনি।
সিরিসেনা বলেন, ‘আমি জীবনেও বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেবো না। আমি তাদের বলেছি, যদি তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতেও পারে তাহলেও যেন তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিক্রমাসিংহের নাম প্রস্তাব না করে। কারণ আমি তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেবো না।’
প্রেসিডেন্টের দাবি, দুর্নীতি বৃদ্ধি পাওয়া ও নীতি প্রণয়নগত বিষয়ের বিরোধের জেরে তিনি বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে চীনপন্থি মাহিন্দ্র রাজাপাকসেকে নিয়োগ দিয়েছেন। রনিল বিক্রমাসিংহের আমলে হওয়া দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স- এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী সিরিসেনা এমন কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন যার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সমর্থন আছে। এটা স্পষ্ট নয় যে ঠিক কোন ক্ষমতা বলে তিনি বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে রেখেছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউএনপি’র মুখপাত্র হর্ষ ডি সিলভা, কমিশন গঠনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সিরিসেনার বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা এবং দুর্নীতি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত কোরে সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এরপর থেকেই দেশটির রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।