দেশের খবর: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন ভবনে এক বৈঠক শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ৩৬টি সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা। দুই সিটি মিলিয়ে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরে মোট পদ হবে ৪৮টি।
তিনি বলেন, এসব পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়ন বাছাই ২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগের তফসিল অনুযায়ী যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছিলেন তাদেরকেও নতুন করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আগে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের জামানাতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে; এবার নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ওই তফসিলে যাদেরকে এ নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এবারও তারাই বহাল থাকবেন।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক মারা গেলে ওই পদটি শূন্য হয়। পরে মেয়র পদে উপনির্বাচনসহ দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন রাজধানীর উপকণ্ঠের ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দেন। মামলার সংশ্নিষ্ট আইনজীবী আদালতে না আসায় হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।