নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এনসিটিবির অনুমোদন বিহীন বই লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাঠ্য তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করায় আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতিকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরই জেল ধরে গত ২৪ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পৃথকভাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এড. আমিনুর রহমান চঞ্চল উক্ত লিগ্যাল নোটিশটি প্রদান করেন। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এতে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাসের আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা শিক্ষা অফিসের জেশিঅ/২০১৮/৬৪০৪ নং স্মারক মোতাবেক মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করে রচিত নি¤œ মানের গাইড বই (বিশেষ করে পাঞ্জেরী, স্কয়ার, অক্সফোর্ড প্রকাশনীর) বই বাজারজাত না করে শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। এরপর জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর তারিখে আবারো জেশিঅ/সাত/২০১৮/৬৮১৯ স্বারক মোতাবেক এনসিটিবি কর্তৃক অনুমোদনবিহীন নোট/গাইড বই মজুদ, বিক্রি বা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত না করতে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। চিঠিতে এই সংক্রান্ত বই যাতে শিক্ষকরা সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত না করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়। যার সিদ্ধান্ত দেয় জেলা প্রশাসন। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষক সমিতি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাঞ্জেরী প্রকাশনীর পঞ্জেরী ও অক্ষরপত্র বই বাজারজাত করছে বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ধরনের বই যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভুক্ত করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো জানান, উকিল নোটিশের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।