নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে ৪১ জনের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
রাত সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা শেষে নাম ঘোষণা করা হয়।
ওবায়দুল কাদের জানান, কুমিল্লা থেকে আনজুম সুলতানা, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, গাজীপুর থেকে রুমানা আলি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, নেত্রকোনার হাবিবা রহমান খান শেফালী, পিরোজপুরের শেখ এ্যানি রহমান, টাঙ্গাইলের অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জের শামীমা আক্তার খানম, গাজীপুরের শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, মুন্সিগঞ্জের ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী রাবেয়া আলীম, নরসিংদীর তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জের নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহের মনিরা সুলতানা, ঢাকার নাহিদ ইজহার খান, ঝিনাইদহের খালেদা খানম, বরিশালের সৈয়দা রুবিনা মিরা, চট্টগ্রামের ওয়াসিকা আয়শা খান, পটুয়াখালীর কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনার ঝর্না সরকার, ঢাকার সুবর্ণা মোস্তাফা, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালীর ফরিদা খানম সাকী, খাগড়াছড়ির বাসন্তী চাকমা, কক্সবাজারের কানিজ ফাতেমা আহমেদ, ফরিদপুরের রুশেনা বেগম, কুষ্টিয়ার সৈয়দা রাশিদা বেগম, মৌলভীবাজারের সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহীর আনজুম মিতা, কুমিল্লার আরমা দত্ত, খুলনার শিরিনা নাহার, চাঁদপুরের ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরীয়তপুরের পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ির নুসরাত, ঢাকার শবনম জাহান শিলা, চট্টগ্রামের খাদিজাতুল আনোয়ার, নেত্রকোনার জাকিয়ার পারভীন খানম, মাদারীপুরের তাহমিনা বেগম, ঢাকার শিরীন আহমেদ ও জিন্নাতুল সংরক্ষিত আসনে মনোনীত হয়েছেন। বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা এই প্রতিবেদন লেখার পরও চলে। সভায় দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন ১৫১০ জন।
গত ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই ফরম বিক্রি করে দলটি। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে মহিলা আসন বণ্টন করা হয়। প্রতি ৬টি আসনের বিপরীতে যে কোনো দল বা জোট ১টি সংরক্ষিত আসন পেয়ে থাকে। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার ৫০টি সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হবে।
ইসি সচিব এ বিষয়ে জানিয়েছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ৪১ জনের নাম ঘোষণা করেন। জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, অন্যান্য দল ১টি (ওয়ার্কার্স পার্টি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পাবেন।