দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় মিথ্যা ষড়যন্ত্র চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকাল ৪ টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্য্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনটি করেন দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের আলহাজ¦ আব্দুর রউফ গাজীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আফসার আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের দর্পণ। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নামধারী কয়েকজন চাঁদাবাজের হাত থেকে রেহাই পেতে চান। তিনি বলেন, সম্প্রতি তার ছোট ভাই আশরাফুল ইসলামের সাথে স্থানীয় এক নারীকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। সেকেন্দ্রারা সানাপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী রেহেনা আক্তার পলি তাদের পরিবারের শান্তি নষ্ট করতে স্থানীয়দের সাথে যোগসূত্র করে উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের পুত্র মোমিনুর রহমান, একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিনুর পুত্র মাহমুদুল হাসান শাওন, পাঁচপোতা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র কবির হোসেন, দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের রমজান আলীর পুত্র ফরহাদ হোসেন সবুজ ওরফে নিলয় আহম্মেদ, সখিপুরের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র নাসির উদ্দীন একত্রে মিলে সহযোগীতা ও প্ররোচনায় নোংরা খেলায় মেতেছে। তারা পলিকে পুজি করে তাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের বেকায়দায় ফেলানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত ব্যক্তিরা বিষয়টি মেটানোর নামে আমাদের কাছে মোটা অংকের টাকার দাবি করে আসছিল। তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উক্ত ব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি এবং পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে ঐ চাঁদাবাজ চক্র পলিকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে গত ৩ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এসময় তার মা পলিকে তাদের বাড়িতে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে পলি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী বলে দাবি জানাই। কিন্তু স্থানীয় জনগনের সম্মুখে কোন বৈধ এবং বিয়ের বিষয়ে যথার্থ কোন প্রমান দিতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে পলি বাধ্য হয়ে নিজেই তাদের বাড়ি থেকে চলে যায়। এসময় পলিকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতে থাকে উল্লেখিত ঐ ৫ চাঁদাবাজ। কিন্তু তাদের অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পলিকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তারা। আর ফরহাদ হোসেন সবুজ ওরফে নীলয় আহম্মেদকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে বার বার টাকা চাইতে থাকে। এসময় তারা ভয় পেয়ে নিকটস্থ আতœীয় সাতক্ষীরা শহরের এক সংবাদকর্মীকে জানালে নীলয় আহম্মেদ তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এমনকি তার সাথে জি,এম সৈকত, ডিএ তায়েব সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাম ব্যাবহার করে রীতিমত তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়। এমনকি তারা তার মেঝ ভাই আশরাফের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বারবার তাদের সাথে একা দেখা করতে বলে এবং তাদের ছোট ভাই শাহিদুলের কাছে বারবার টাকা চাই। নীলয় আহম্মেদ নিজে একজন অভিনেতা এবং তার হাত অনেক লম্বা বলেও জানাই। এরপর থেকে চাঁদাবাজচক্র ঐ নারীকে দিয়ে তাদের পরিবারের শান্তি, সামাজিক মান মর্যাদা ও সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টা করে চলেছে। তারা ঐ ছলনাময়ী নারী ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পেতে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দেবহাটায় ষড়যন্ত্রে হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট