অনলাইন ডেস্ক: একটি পা দিয়েই চলছে রাসেল মৃধার জীবন সংগ্রাম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। তাই অভাব অনটনের সংসারে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে পড়ালেখা করাতে হাল ছাড়েনি রাসেলের বাবা-মা। লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ আর মনের জোরে এবার বাম পায়ে কলম ধরেই ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে শারীরিক প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। সে সিংড়া পৌর এলাকার শোলাকুড়া মহল্লার কৃষক আবদুুর রহিম মৃধার ছেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার সিংড়া দমদমা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিশেষ কৌশলে বেঞ্চের ওপর খাতা রেখে সেখানে বসেই বাম পায়ের দুই আঙুলের ফাঁকে কলম রেখে অন্য সবার সঙ্গে বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছে সে। রাসেল মৃধা সিংড়া পৌর এলাকার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার ৫ম শ্রেনীর ছাত্র। জন্ম থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী।
শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নাজমুল হক বলেন, রাসেল ছাত্র হিসেবে মেধাবী। ইসলামী সংগীতেও রয়েছে তার ব্যাপক প্রতিভা। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার জন্য অনেক আন্তরিক। সাধ্যমত প্রতিষ্ঠান থেকে রাসেলকে সহযোগিতা করা হয়। ভবিষ্যতে তার জন্য পড়াশুনার বিষয়ে যতটুকু সম্ভব সুবিধা দেয়া হবে।
পড়ামোনার প্রতি প্রবল আগ্রহের ব্যাপারে জানতে চাইলে অদম্য রাসেল জানায়, সে পড়ালেখা করে অনেক জীবনে অনেক বড় হতে চায়। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সে সরকারি চাকরি করবে। বাবা মায়ের অভাব অনটন দূর করবে।
রাসেলের পিতা কৃষক আবদুুর রহিম মৃধার জানান, সে পা দিয়ে লিখে এবং শুকনা খাবার খায়। সে স্বাভাবিকভাবে কথা শুনতে ও বলতে পারে। রাসেল প্রতিবন্ধী হিসেবে তিন মাস পরপর ১৫শ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। স্থানীয় সাংসদ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি রাসেলের চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার দিয়েছেন।