নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ বঙ্গের বিশিষ্ট আলেম মুফতি নুরুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা আলিয়া কামিলা মাদ্রাসার সহকারী মুফতি ছিলেন। মুন্সিপাড়া কলেজ রোড সংলগ্ন একটি বাড়িতে তিনি পরিবার নিয়ে থাকতে। তার পৈত্রিক নিবাস আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রিপুর গ্রামে। ২১ বছর ধরে তিনি সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই কন্য ও এক সন্তানের জনক। মৃত্যকালে তার বয়স হয়ে ছিল ৪৭ বছর। সোমবার সকালে কর্মস্থালে আসার পথে শাররীক অসুস্থ্যতা বোধ করলে পারিবারিক ভাবে তাকে স্থানীয় একটি চিকিৎসালয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবন্নতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান,হার্ডএ্যার্টাক করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে দুপুর দুইটার দিকে মরহুমের কর্মস্থল সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্রথম জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন,প্রতিষ্ঠানটির হেড ,মুফতি আখতারুজ্জামান। এর আগে জানাযা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,মরহুমের একমাত্র ছেলে,ছাব্বির আহম্মদ, অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস মোস্তফা শামসুজ্জামান, প্রতিষ্ঠানটির গর্ভঃসদস্য জেলা ওলামা লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান বকুল,মুহাদ্দিস সিরাজুল ইসলাম সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। মরহুমের দ্বিতীয় নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয় বিকাল ৪টায় তার গ্রামের বাড়িতে। পরে বাবা মায়ের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্মন্ন করা হয়। বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সেক্রেটারী মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিবৃত্তি দিয়েছে। এক শোক বর্তায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাদ্দিস মোস্তফা শামসুজ্জামান জানান,তার মৃত্যুতে জাতি একজন আলেম কে হারাল। প্রতিষ্ঠানটি একজন বিজ্ঞশিক্ষক হারালো। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। একই সাথে শোক সন্তাপ্ত পরিবারের প্রতি জানায় গভীর সমবেদনা।
পূর্ববর্তী পোস্ট