স্বাস্থ্য ও জীবন: হোসনে আরা বেগমের বড় ছেলে এবার ঈদে বাড়ি আসছে না। একটু পর পর মা’কে ফোন, ‘মা আমার জন্য কিন্তু কলিজা ভুনা রেখো, সিনার হাড় দিয়ে যে ভুনাটা করো সেটাও রেখো কিন্তু’। বাড়িতে কোরবানি হচ্ছে কিন্তু ছেলেটা খেতে পারছে না। এই দুঃখটা বেশ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হোসনে আরা বেগমকে। ছোট্ট একটা ফ্রিজ, ওখানে আর কতটুকু কি রাখা যাবে। এরমধ্যে ঈদের আগে একগাদা ইলিশ মাছ কিনে ডিপে ঢোকানো হয়েছে। বাড়ির ছুটা বুয়া আগেই বুকিং দিয়ে গেছে একটু মাংসে রাখার জন্য। কাউকেই না করা যায় না। এখন ছেলের জন্য মাংস রাখার চিন্তায় অস্থির হয়ে আছেন তিনি। ঈদের এক সপ্তাহ পরেই ছেলেটি বাসায় আসবে। এরকম সংকট থেকে রক্ষা করবে এই টিপস-
১) এখন যেহেতু গ্রামেগঞ্জে সবার বাড়িতেই ফ্রিজ আছে তাই ফ্রিজারে মাংস সংরক্ষণের বিষয়টিই প্রধান ও অন্যতম উপায়। ফ্রিজে মাংস রাখতে গেলে মাংস একদমই পানিতে ধুবেন না। মাংস কেটে আনার পর শুকনো মাংসই প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন।
২) মাংস পুটলি না করে চিনি বা আটার প্যাকেটের মতো চ্যাপ্টা করে রাখলে ফ্রিজে অনেকটুকু জায়গা পাওয়া যায়।
৩) ফ্রিজারে সংরক্ষণ সম্ভব না হলে মাংস হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে রেখে দিতে পারেন। এই মাংস প্রতিদিন একবার জ্বাল দিতে হবে। এভাবে প্রায় ১০/১৫দিন মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে পারবেন।
৪) জ্বাল দেওয়া মাংস থেকে কিছু মাংস নিয়ে শুটকি করে ফেলতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মাংস প্রায় ১ বছর রাখতে পারবেন।
৫) মাংসের চর্বিতে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাংস রান্নার সময় পছন্দমতো সব মশলা দেবেন কিন্তু পানি দেবেন না।
যারা ঈদের বাড়ি আসতে পারছে না, তাদের জন্য এই পদ্ধতিতেই মাংস সংরক্ষণ করে রাখুন মায়েরা।
*** ফ্রিজে মাংস ১ মাসের বেশি রাখবেন না। এতে মাংসে বিষক্রিয়া হতে পারে।