নিজস্ব প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকউটর নিয়োগের নামে তিন আইনজীবীর কাছ থেকে দু’ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোঃ সাহেদুজ্জামান সাহেদ বাদি হয়ে বুধবার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আইনমন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সাংসদকে ম্যানেজ করে নিয়োগপত্র আনার জন্য সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. সাহেদুজ্জামান, অ্যাড. রাজীব রায় চৌধুরী সঞ্জয় ও অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে মাথা পিছু ৭০ হাজার টাকা করে নেন। টাকা নেওয়ার সময় এক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র এনে দেওয়ার কথা বললেও দীর্ঘ বছর গড়িয়ে গেলেও কথা রাখেতে পারেননি আব্দুল লতিফ। একপর্যায়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নিজের অফিসের সামনে আব্দুর রউফ খোকন ও রাহাত হাসান রনির উপস্থিতিতে তারা টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা দিতে পারবেন না বলে হাঁকিয়ে দেন আব্দুল লতিফ। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। আইনজীবী সমিতি নিস্পত্তিতে ব্যর্থ হয়ে আইন আদালতের আশ্রয় নেওয়া অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত, ৮৪ হাজার টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করে বা জমি লিখে না দেওয়ায় জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে তার গ্রাম দক্ষিণ কামারবায়সার মোঃ নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ০৯ নভেম্বর আদালতে প্রতারণার মামলা করেন। বিচারক ,মামলাটি তদন্তভার পিবিআই এর উপর ন্যস্ত করেন। এ ছাড়াও দু’ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা করার খরচ যোগাতে না পেরে দক্ষিণ কামারবায়সার আকবর আলী মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কাছে অভিযোগ করেছেন।
তবে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ সম্প্রতি শহীদ মিনারের পাদদেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশে বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে অহেতুক সম্মান নষ্ট করছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এড. ওসমান গণি।
পূর্ববর্তী পোস্ট