রাজনীতির খবর : অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। কুয়েতে পাপুলের সাজার রায় ঘোষণার দিন থেকে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালত কর্তৃক গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য নন।
এতে আরও বলা হয়, সে কারণে সংবিধানের ৬৭ (১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন (২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালীবিধির ১৭৮ (৪) বিধি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।
কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী ব্যবসায়ী কাজী শহীদ পাপুলকে গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েত সিটির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। সে দেশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রায় ৫৩ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) পাচারের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পর এবং জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর পাপলুর মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এরপর গত ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। একই সঙ্গে পাপুলের কাজে সহায়তাকারী কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহসহ কুয়েতি দুই কর্মকর্তাকেও চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে পাপুলসহ সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।