দেশের খবর: সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা। এই খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এলে ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসানের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত মায়ের কোলে ফিরেছে শিশু সন্তান।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নে সিমলা আক্তারের থেকে নবজাতককে ফিরিয়ে এনে তার মায়ের কোলে দেওয়া হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, সন্ধ্যার পর শিশু বিক্রির বিষয়টি জানার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি), মতলব উত্তর থানা–পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালাই। পরে উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কাছে শিশুটি রয়েছে নিশ্চিত হলে, সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করি।
জানা যায়, ষাটনল এলাকার একজন প্রবাসীর স্ত্রী সিমলা আক্তার বাচ্চাটা কিনেছিলেন। নিজের তিন মেয়ের পাশাপাশি ওই নবজাতককে সন্তান হিসেবে লালন-পালনের জন্য দত্তক নেন। বিনিময়ে ওই নবাজাতকের মাকে দেওয়া হয় নগদ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি জন্মের আগে তার মা গত ২৩ জানুয়ারি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পালস-এইড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে। সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের। পরে হাসপাতাল এবং ওষুধ খরচের ব্যয় বহন করতে না পেরে ৫০ হাজার টাকায় বাধ্য হয়ে সন্তানকে বিক্রি করে দেন মা।