প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং-৫৫০, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল) এর নির্বাচন গত ২ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই নির্বাচনে ইউনিয়নের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক শত শত অশ্রমিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা,
প্রায় এক হাজার প্রকৃত শ্রমিকের কার্ড নবায়ন না করা, এবং সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের নিজস্ব লোক দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করার বিরুদ্ধে অত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ রবিউল ইসলাম রবি বাদী হয়ে শ্রম আদালত, খুলনায় মামলা দায়ের অত:পর খারিজ হওয়ার পর বিজ্ঞ হাইকোর্টে রিট মামলায় বিজ্ঞ আদালতের পক্ষ থেকে ৩১ মার্চ ৩ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে রুল জারি করেন। এছাড়া একই তারিখে ইউনিয়নের সহ প্রচার সম্পাদক মো. নাজমুল হোসেন সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাণো নোটিশের প্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বহু তালবাহানার করার একপর্যায়ে ১ এপ্রিল রাতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন।
ওই রাতেই শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ছাইফুল করিম সাবুর নির্দেশে ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জেলা শ্রমিক লীগ ও পৌর শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দকে মারপিট করে এবং পরের দিন ২ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগকে ধ্বংস করার লক্ষে সন্ত্রাসী সাবুর নির্দেশে আরশাদ খোকা ও জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে সকাল ১০ টার সময় পৌর শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, রতন ও মাসুম সহ কয়েকজনকে মারপিট করে। এরপর অনুমানিক বেলা ১২ টার সময় ২৫/৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী জাতীয় শ্রমিকলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের ধাওয়া ও মারপিট করে সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকা অফিসে হামলা করে দরজা, জানলাসহ আসবাবপত্র ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে এবং পৌর শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমানের মোবাইলের দোকান খুলনা রোড মোড়ে অবস্থিত বন্ধু টেলিকমে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করত: ২ টি কম্পিউটার, ১টি ল্যাবটপ, মোবাইল ও আসবাবপত্রসহ আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। পরবর্তিতে দৈনিক কালের চিত্র অফিসে পত্রিকা পাঠরত অবস্থায় জেলা শ্রমিকলীগ নেতা কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত ও পৌর শ্রমিকলীগের সাইফুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে।
প্রকাশ্য দিবালোকে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী পত্রিকা অফিসে হামলা, মারপিট করে ত্রাস সৃষ্টি করত: মিজানের মোবাইলের দোকান ভাংচুর করার পরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদকে ১ নং আসামী করে জেলা ও পৌর শ্রমিকলীগের ১৬ জন নেতাকর্মীসহ ১৭ জনকে আসামী করে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের অসংখ্য নেতৃবৃন্দের মারপিট, পত্রিকা অফিস-দোকান ভাংচুরের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত বিচার আইনের মামলার আসামী সাবু-জাহিদসহ ১৬ জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়ে বিবৃৃতি প্রদান করেছেন জাতীয় শ্রমিকলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক মো. আব্দুল্লাহ সরদার, সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বিবিসিসহ জেলা ও পৌর শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।