তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার খড়েরডাঙ্গা গ্রামে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু ছাত্রী (১০) কে ধারাবাহিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার ছাত্রীর মা তালা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ ২ ব্যক্তিকে আটক করে। এরমধ্যে একজন ৩ সন্তানের জনক।
নির্যাতিত শিশু ছাত্রীর মা জানান, তার কন্যা স্থানীয় মাঝিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং সে অন্য শিশুদের তুলনায় শারীরিক ভাবে একটু দ্রুত বেড়ে উঠেছে। বাড়ির পার্শ্ববর্তী একই গ্রামের ভোলাই মুন্সির পুত্র ৩ সন্তানের জনক হযরত মুন্সির কুনজর পড়ে এই শিশুর উপর। সুযোগ পেলেই লম্পট হযরত ওই শিশু কন্যার শরীরে হাত দিয়ে যৌন নির্যাতন করতো। কিন্তু ভয়ে ও লজ্জায় শিশু মেয়েটি ঘটনাটি গোপন রাখে। লম্পট হযরতের বিরুদ্ধে নিজ কন্যার বান্ধবীকেও অনুরুপ যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুর মা আরও জানান, হযরত আবারও যৌন নির্যাতন করলে বিষয়টি শিশু মেয়ে তার মাকে জানিয়ে দেয়। একই সাথে এধরনের ঘটনা ইতােপূর্বে গৃহ শিক্ষক এরশাদ মুন্সির পুত্র শবুজ মুন্সি ঘটিয়েছিল বলে নির্যাতিত শিশু জানায়। যৌন নির্যাতনের এসব ঘটনায় শনিবার রাতে তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে শিশুর মা। ওই রাতেই পুলিশ খড়েরডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে লম্পট হযরত ও শবুজকে। রেবাবার দুপুরে তালা থানা পুলিশ ধৃতদের তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ আদালত ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারায় হযরতকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট