এবারের আসরে টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ন্ত সিলেট সিক্সার্সের হঠাৎই যেন ছন্দপতন। সেখান থেকে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নাসির-সাব্বিরের দল।
শুক্রবারের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের কাছে সিলেট তৃতীয় হারের স্বাদ পেল। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটের দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যটা ৭ উইকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে টপকে গেছে রাজশাহী।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক স্যামি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মাঠে দারুণভাবে যৌক্তিক প্রমাণ করেছেন রাজশাহীর বোলাররা। আঁটসাঁট বোলিংয়ে সিলেট সিক্সার্সকে ১৪৬ রানেই বেঁধে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ-জেমস ফ্রাঙ্কলিনরা।
এদিন বাজে ভাবেই শুরুটা হয়েছিল সিলেটের। চোট কাটিয়ে ফেরা আন্দ্রে ফ্লেচারকে ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সামি। এরপর সামিকেই পরে এক ওভারে চার-ছক্কা মারেন উপুল থারাঙ্গা ও দানুশকা গুনাথিলাকা। কিন্তু অসাধারণ এক ডেলিভারিতে থারাঙ্গাকে বোল্ড করে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এই ম্যাচে চারে ব্যাট করার সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। জীবন পেয়েও আরও একবার ব্যর্থ অধিনায়ক নাসির হোসেন। সিলেটের ভরসা হয়ে এক পাশ আগলে রেখেছিলেন গুনাথিলাকা। নাসিরের মত জীবন পেয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু ফেরেন ৩৭ বলে ৪০ রান করে।
১৭ ওভার শেষে সিলেটের রান ছিল ৯২। রান খরায় থাকা সাব্বিরকে ব্যাটিং অর্ডার বদলে নামানো হয় ছয়ে। সেই সাব্বিরই শেষ ৩ ওভারে চালান তাণ্ডব। তাণ্ডবের শুরুটা টিম ব্রেসনানের হাতে। ফরহাদ রেজাকে ওড়ান লং অনের ওপর দিয়ে। ওই ওভারেই দুটি বিশাল ছক্কা, একটি চার মারেন সাব্বির। উনিশতম ওভারে সামিকে টানা দুই চার মারেন ব্রেসনান। শেষ ওভারে কেসরিক উইলিয়ামসকে টানা দুই ছক্কায় ওড়ান সাব্বির। পরের বলে আউট হন ২৫ বলে ৪১ রান করে। ব্রেসনান অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ২৯ করে। শেষ ৩ ওভারে সিলেট তোলে ৫৪ রান।
জয়ের জন্য ১৪৭ রানের লক্ষ্য ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৫ রান তুলে নেয় রাজশাহী কিংস। নবম ওভারে ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। পরের ওভারে সামিত প্যাটেলকে ফিরিয়ে খেলায় ফিরেছিল সিলেট। তবে উইকেটে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যান মুমিনুল। জাকিরকে নিয়ে যোগ করেন ৩১ রান। ৩৬ বলে ৪২ রান করে মুমিনুল ফিরলেও বাকি কাজটুকু বেশ দায়িত্বের সঙ্গেই শেষ করেন মুশফিকুর রহিম ও জাকির। মুশফিক ২৫ ও জাকির ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন।