বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশের পরিচয় পেছনে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হচ্ছি-এটিই আমাদের সাফল্যের গল্পের সবটুকু নয়। বরং তা এক নয়া মাইলফলক। এটা বরং নয়া পথ-নকশার শুরু। আমাদের ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নের আদলে নিজেদের তৈরি করতে হবে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বল্পন্নোত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ: চ্যালেঞ্জ ও মূল্যায়ন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ চলচিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট- এর মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুজ্জামান।
আলোচনা সভায় ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক অর্জনের পেছনে বাঙালির মুক্তির অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর কূশলী নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উত্তরণকে ত্বরান্বিত করেছেন।
তিনি বলেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু দারিদ্র্য কমেনি। তবে বাংলাদেশের গরিব মানুষও এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য রেখা টপকে উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। আর গত এক দশকে, বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্য নিরসনের হার আসলেই চোখে পড়ার মতো।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশ দ্রুতই উন্নত সোনার বাংলা হবার মহাসড়কে উঠে যাবে এবং সেই পথে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে বক্তৃতায় ড. আতিউর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।