দেশের খবর: রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় কষ্টের সাগরে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন বাবা দিলীপ অধিকারী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেয়ের কথা স্মরণ করে বক্তব্য দিতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন তিনি।
দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকদের বলেছিলাম আমি ব্লাড প্রেসারের রোগী। আমার স্ত্রীর নিউরো সমস্যা আছে। তাই হয়তো মেয়ের যত্ন নিতে পারেনি। এবারের মতো ক্ষমা করে দিন। কিন্তু তারা আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিল। এই অপমান সইতে না পেরে আমার মেয়েটা আজ নেই।’
তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন, ‘কখনো ভাবিনি যে মেয়ের মরদেহ এভাবে কাঁধে নিতে হবে। আমি জানি এটা কত কষ্টের। বাবা হিসেবে আমি ব্যর্থ যে মেয়েকে সঠিক দিকনিদের্শনা দিতে পারেনি। তা না হলে পরীক্ষার হলে মোবাইল টা নিয়ে গেল কেনো…।’
অরিত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি আর ওই স্কুলে কখনো যাবো না। আমার পরিবারের কেউ হয়তো যাবে না। আপনারা আমার মেয়েকে ক্ষমা করে দিবেন। ও যদি কোনো ভুল করে থাকে।’
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী’ হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আরা ও প্রভাতী শাখার শ্রেণিশিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রীর বাবা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।