নিজস্ব প্রতিনিধি : ১২লক্ষ টাকায় জালিয়াতির মাধ্যমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক পদে নিয়োগের অভিযোগে অধ্যক্ষ আবু সাঈদ বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। গত ১ আগস্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এর ০৪.০১. ০০০. ১০৯. ২৮.০০১.১৯৭৫৭ নং স্মারকে বিষয়টি তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু সে সময় হজব্রত পালনের জন্য অধ্যক্ষ আবু সাঈদ সৌদী আরবে অবস্থান করায় ফিরে না আসা পর্যন্ত তদন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে দুদকে ৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সদর উপজেলা নির্বাহী দেবাশীষ চৌধুরী এক পত্র প্রেরণ করেন।
হজ্বব্রত সম্পন্ন করে ইতোমধ্যেই অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দেশে ফিরেছেন। ফলে দ্রুত অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করা হবে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশিষ চৌধুরী।
জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ১৯৮০ সালে এমপিভুক্ত হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবু সাঈদ অবৈধ লাভের আমায় সরকারি পরিপত্র উপেক্ষা করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সিনিয়র শিক্ষকদের হটিয়ে জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ ভুক্তভোগী শিক্ষক গত ২৬ মে ২০১০ তারিখে ২য় শিক্ষক হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। সে সময় তার ইনডেক্স নাম্বার ছিলো। নিময়নুযায়ী ইনডেক্স নাম্বার সরকারি করণের জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করলে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আবু সাঈদ ১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষক তার ঘুষের টাকা দিতে না পারায় ১২লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে অবৈধভাবে এবং জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রুনা লায়লা নামক ব্যক্তিকে উক্তপদে পদায়ন করেন। যা সম্পূর্ণ নীতি বহির্ভূত। রুনা লায়না গত ১ মে ২০১৭ তারিখে ইনডেক্স নাম্বার পেয়েছেন। যার ইনডেক্স নং ৩০৯৪৩৬৪। উক্ত বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগি শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশিষ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই তথ্য কোথা থেকে জেনেছি তা জানতে চেয়ে বলেন, কোন তদন্তাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া যাবে না।