১ এপ্রিল শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) নেতারা দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি যাই কিছু করুন না কেন, দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করলে মেনে নেওয়া হবে না। আশা করি এমন কিছু তিনি করবেন না। জনগণকে পাশ কাটিয়ে কিছু করা হলে অবশ্যই আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রয়োজনে রাজপথের আন্দোলনে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি ভালো নেই। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। গুম-খুন অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর মতো তরুণকে আজ পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এ দায় এড়াতে পারে না।’
বেগম জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে, সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই তারা কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু করছে না।’ টালবাহানা না করে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশনেও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেনি। যদি সুষ্ঠু ভোট হতো তাহলে আরো অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের বিজয় হতো।
সাক্ষাৎকালে ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ। এ সময় চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, ইলিয়াস খান, মোদাব্বের হোসেন, বাকের হোসেন, শফিউল আলম দোলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুরে সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সংবাদ মাধ্যমের জন্যে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা ও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ ১১ দফা জানানো হয়।