ডেস্ক রিপোর্ট : কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাইরে লোক জড়ো করে ত্রাণ বিতরণ করতে পারবে না। পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। ত্রাণ বিতরণের পূর্বে জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইননানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে কওমি মাদ্রাসার আলেমদের নিয়ে কমিটি গঠন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, ত্রাণ ও দুর্যোগ কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ, জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের উদ্যোগে দোকান বন্ধ রাখা এবং জনসমাগম বন্ধ করা, পণ্যবাহী/রোগীবহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা, পণ্যবাহী কোন গাড়িতে যাতে যাত্রী না উঠতে পারে, সেটা খেয়াল রাখা, প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে, সার/কীটনাশক/ঔষধ/কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান খোলা থাকবে কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ঔষধের দোকান বাদে সব দোকান বন্ধ রাখা এবং মাছের সেড দুপুর ১২টার পর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, যে ঘরে থাকবে সেই কেবল ত্রাণ পাবে। খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে অনাবাদী জমি চাষাবাদের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট