অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ক্ষুধা বাড়ছে, একই সঙ্গে গরিবের জন্য বরাদ্দ দেওয়া চাল চোরদের তালিকাও লম্বা হচ্ছে। করোনা দূর্যোগে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা ও বেসরকারিভাবে সংগ্রহ করা ত্রানের চাল লুটপাটের অভিযোগ আসছে দেশের নানাস্থানে থেকে। ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও থেমে নেই ত্রাণের চাল চুরি। চাল চুরির ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই বেশি জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চুরি ধরা পড়ার পর তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে, অনেকেই পলাতক হয়েছেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলছে সরকার ঘোষিত ছুটি এবং অঘোষিত ‘লকডাউনে’ স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই দূর্যোগে সবচেয়ে বেশি ভোগন্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তাদের জন্য সরকার ত্রাণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বিক্রি চলছে ১০ টাকা কেজিতে চাল। তবে সিংহভাগ চাল চলে যাচ্ছে অসাধু জনপ্রতিনিধি আর ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙানো কতিপয় অসাধু নেতাকর্মীর পকেটে। এতে দিন এনে দিন খাওয়া দারিদ্রপীড়িত মানুষদের অনাহারে থাকতে হচ্ছে।
বৈশ্বিক এই মহামারিকে কেন্দ্র করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়েছে, দেশের নিম্নআয়ের ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনও খাবার নেই। আর ২৯ শতাংশের ঘরে আছে ১ থেকে ৩ দিনের খাবার। আর এইসব দরিদ্রপীড়িত মানুষের জন্য বরাদ্দ করা চাল চুরির মহোৎসব চলছে দেশজুড়ে।
সারাদেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে গত ১১দিনে অন্তত তিন হাজার বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের ব্যবধানে এই চাল চুরির ঘটনাগুলো ঘটে।