ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারে বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির বিমানবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি হ্যারিংটন এ কথা জানান।
জেফরি হ্যারিংটন জানান, অস্ত্রভাণ্ডারে আঘাতের জন্য ১২টি বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত জানি না, কী ধরনের রাসায়নিক সেখানে ছিল।’ অস্ত্রভাণ্ডারটি আগে ওষুধ কারখানা ছিল।
গত মাসে অভিযোগ ওঠে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও আইএসের লোকজন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রাসায়নিক অস্ত্র নিবারণ সংগঠন নামে এক প্রতিষ্ঠানে বছরব্যাপী চলা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ২০১৩ সালের পর সিরিয়ার সরকার, বিশেষ করে এর বিমানবাহিনী ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহার করেছে।
হ্যারিংটন বলেন, মসুলের কাছে আইএসের রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারে সোমবার হামলা চালানো হয়। যুদ্ধবিমান এফ-১৫এস, এফ-১৬এস, এফ-১৮এস এবং বি-২ এতে অংশ নিয়েছে।
২০১২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার ‘রেড লাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর পর সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে। ২০১৩ সালে সিরিয়া সরকার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে সারিন গ্যাস দিয়ে হামলা চালালেও ওবামা সামরিক হামলা চালানো থেকে বিরত থাকেন। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলো নিন্দা জানায়।