এটি একটি অতি সাধারণ রোগ। বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি এ রোগ দেখা যায়। শরীরের যে কোনো স্থানে এ রোগ হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মুখ, গাল, ঠোঁট, চোখের পাতা, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে। শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোতেও এ রোগ হতে পারে। সবচেয়ে বেশি হয় লিভার এ, তবে ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, কিডনি, ফুসফুস এমনকি মস্তিষ্কের ভেতরেও এ রোগ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে গভীর মাংসের ভিতরেও এরোগ হতে পারে।
লক্ষণ :এরোগে সাধারণত কোনো ব্যথা বেদনা বা অন্য কোন সমস্যা হয়না। সাধারণত চামড়ার উপরের হেমাংজিওমা লালচে রঙের হয়।এগুলো চামড়ার তল থেকে উঁচু হয়ে যায়। চামড়া থেকে বেশি গভীরে হলে অনেক সময় নীল বর্ণের হয়ে থাকে।এর উপরের চামড়ার তাপমাত্রা বেশি থাকে আশেপাশের চেয়ে।
জটিলতা : চোখের পাতায় হলে দেখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে নাকের ভেতরে হলে। ।হটাৎ রক্তক্ষরন, ক্ষত তৈরী হওয়া, সৌন্দর্যহানি।
চিকিৎসা :
২ ধরণের চিকিৎসা বিদ্যমান : ১. ঔষধের সাহায্যে : ২. অপারেশন
আগে সবক্ষেত্রে অপারেশন লাগলেও এখন ৯৫% ক্ষেত্রেই অপারেশন প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র মুখে খাবার ওষুধেই এ রোগ ভালো করা সম্ভব। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন প্রয়োজন হয়।
কখন ডাক্তার দেখবেন : haemangioma দৃষ্টিগোচর হবার পর যত দ্ৰুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তা না হলে আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ এ রোগ যে কোনো জটিলতা সৃস্টি করতে পারে।
সতর্কতা : এই বাচ্চাকে অপরিচিত কারো কাছে না দেয়া ভালো। অন্য কোনো বাচ্চার সাথে খেলার সময়ও বাচ্চা কে চোখে চোখে রাখা উচিত, যাতে এই টিউমারে কোনো আঘাত বা খোঁচা না লাগে। কারণ এক্ষেত্রে হটাৎ প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে যেটা সহজে বন্ধ হয়না। যদি কখনো হটাৎ রক্তক্ষরণ শুরু হয়, একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঐ খানে চেপে ধরে রাখতে হবে এবং এভাবে ধরা অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে রুগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে রুগী রক্তশুন্য হয়ে যেতে পারে।
ডাঃ শেখ আবু সাঈদ শুভ
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
শিশু সার্জারি বিভাগ
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বার : আনোয়ারা মেমোরিয়াল ক্লিনিক,
খুলনা রোড, সাতক্ষীরা
যোগাযোগ ০১৭২৯-৫৭৬ ৫৭৬
সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
শিশু সার্জারি বিভাগ
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
চেম্বার : আনোয়ারা মেমোরিয়াল ক্লিনিক,
খুলনা রোড, সাতক্ষীরা
যোগাযোগ ০১৭২৯-৫৭৬ ৫৭৬