কালিগঞ্জ ব্যুরো : কৈশোরকালীন যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক সোমবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি-হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সুজন উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু‘র সভাপতিতে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের উজ্জীবক এম হাফিজুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ওয়াজেদ আলী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম,আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু, দি-হাঙ্গার প্রজেক্টের ডুমুরিয়া উপজেলা সমন্বয়কারী পলাশ মজুনদার, সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন, ভদ্রখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ইলাদেবী মল্লিক, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য লাইলি পারভীন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ১০-১৯ বছর বয়েসে মধ্যে প্রজনন ক্ষমতায় প্রবেশ করছেন। এই সময় স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি তাদের প্রজনন সেবারও প্রয়োজন রয়েছে। বয়:সন্ধিকালে আকর্ষিক শরীর ও মানষিক পরিবর্তনের ফলে কিশোর-কিশোরীদের মনের মধ্যে নানা ধরণের প্রশ্নের জম্ম দেয়। অথচ বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে প্রজনন ইন্স্যুটি এতোই স্পর্শকাতর যে এ সম্পর্কে আলোচনার বিষয়কে লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করেন অনেকেই। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা, বয়:সন্ধিকালে যতœ, পরিবার পরিকল্পনার পদ্ধতি নির্বাচন, স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কসহ সিদ্ধান্ত হীনতায় কারণে স্বাস্থ্যসেবাটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। ফলে নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই জীবনের এসব গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চর্চা এখনো গড়ে ওঠেনি। এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টিকে সচেতন করার জন্য সরকারি বে-সরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ থাকলেও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এখনো খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরী হয়নি। প্রজনন শব্দের অর্থ বংশবৃদ্ধি, প্রজনন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয় এবং মানুষ, প্রাণী ও প্রকৃতি তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়।