সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

আজ থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

দেশের খবর: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য আজ বুধবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
সকাল আটটা থেকে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে । টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানুষ। সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে দাঁড়ান এসব টিকিটপ্রত্যাশীরা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আজ দেওয়া হচ্ছে ১৭ আগস্টের টিকিট। ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।
একইভাবে ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। ঈদ ফেরত অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে। ২৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ১৫ আগস্ট। একইভাবে ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্টের টিকিট।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য দূরপাল্লার বাসের আগাম টিকিট বিক্রি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। বাসের আগাম টিকিট বিক্রির দিন ধার্য ছিল গত রবিবার। কিন্তু দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
একনেকে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন

দেশের খবর: দুর্ঘটনা হ্রাস ও নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের উদ্দেশ্যে তিনটি প্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় অনুমোদিত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সড়ক নির্মাণ সংক্রান্ত যে তিনটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো হলো ‘নোয়াখালী জেলার সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা সংলগ্ন ‘বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানী, খানসামা-রানীবন্দর এবং চিরিবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প এবং মৌলভীবাজারের ‘কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর (জেড-২৮২২) সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি সেতু (রাজাপুর সেতু) নির্মাণ ও ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্প তিনটিতে মোট ব্যয় হবে ৪১০ কোটি টাকার বেশি।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য প্রায় প্রতি একনেক সভাতেই সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়নের কাজও চলমান আছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নোয়াখালীর স্বর্ণদ্বীপে পর্যটক টানতে সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন করা হবে। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে পর্যটন খাতে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এর পেছনে যে কয়েকটি কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাজুক যোগাযোগ অবকাঠামো। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার অংশ হিসেবে নেয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচর এবং স্বর্ণদ্বীপে পর্যটক টানতে সড়ক উন্নয়ন করা হচ্ছে। এ জন্য ‘সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১৬৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
হাতিয়া বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিঝুমদ্বীপ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হওয়ার কারণে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এই সড়ক পথে চলাচল করেন। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালীর কেন্দ্রস্থল সোনাপুর হতে চেয়ারম্যানঘাট হয়ে দ্বীপ এলাকা হাতিয়া, ভাসানচর এবং স্বর্ণদ্বীপে যাওয়ার জন্য দ্রুত ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ হবে। এছাড়া দুর্ঘটনা কমানো, দ্রুত যান চলাচল, মালামাল পরিবহন বৃদ্ধি এবং প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। মন্ত্রী আরও জানান, দেশের যেসব স্থানে তাঁত শিল্প রয়েছে সেগুলোর জন্য প্রকল্প নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সিলেটের মনিপুর এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাঁত শিল্প বিকাশে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। ডেসকো এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন প্রকল্প। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টার, ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া সরকারী শিশু পরিবার এবং ছোট মনি নিবাস নির্মাণ/ পুনর্নির্মাণ প্রকল্প, হাইটেক পার্ক, সিলেটের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প এবং ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে’

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারকে রাজি করানোর জন্য জাপানসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে- এজন্য মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝাতে হবে।’
সফররত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী এসে এ দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং তারা সংখ্যায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছাড়িয়ে যাওয়ায় নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।’
কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এ কারণে ব্যাপক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে কারণ তাদের চাষাবাদের জমিগুলোতে পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিতে হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমরা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা প্রদান করছি।’ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও নেপিদো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল তথাপি তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা রোহিঙ্গাদের কষ্ট লাঘব করতে কক্সবাজারে কাজ করে যাচ্ছে তারাও দেশে ফেরার পর এসব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে।’
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান তিনি তাঁর সাম্প্রতিক মিয়ানমার সফরে দেশটির রাষ্ট্রপতি উইস মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সাং সু চির সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দ তাঁকে জানান, তাঁরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাবার পর যাতে ভালো পরিবেশে তারা বসবাস করতে পারে সেজন্য রাখাইন স্টেটে ঘরবাড়ি এবং স্কুল নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমি তাঁদের বলেছি।’ তারো কোনো জানান, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো যাতে তাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে পরিদর্শন করানো হয় এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা যেন বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেজন্যও তিনি মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের জন্য জাপান সরকার ২০ লাখ মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্রদান করবে, যাতে চলমান বর্ষা মৌসুমে তাদের কোনো সমস্যা না হয়। এ প্রসঙ্গে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের পরিপূর্ণ অংশীদারত্ব বিদ্যমান থাকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে টোকিও তার সহযোগিতাও অব্যাহত রাখবে।’
তারো কোনো বলেন, ‘জাপানের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে আরো অধিক বিনিয়োগে আগ্রহী।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ইতিমধ্যেই জাপানের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে, যাতে তারা সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে।’
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের তড়িৎ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
এর উত্তরে শেখ হাসিনা জানান, তাঁর সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
তারো কোনো ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ আয়োজন এবং ২০২৩-২৪ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য জাপানের প্রার্থিতার প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রুবাবা ফাতিমা এবং ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইসয়াসু ইজুমি এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জাপানের পরিপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকার সড়ক যেই সেই

দেশের খবর: রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডের এই জায়গার কাছাকাছিই ঘাতক বাস পিষে মারে মীম-রাজীবকে। সেই ঘটনার জের ধরে খুদে শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ সড়ক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কাঁপিয়ে রাখে দেশ। গতকাল (মঙ্গলবার) সেই সড়কেই পুলিশের গাড়ি উল্টো পথে চলতে দেখা যায়।
লেনবিধি মেনে গাড়ি চলেনি কোথাও। ডান দিকে মোড় নেওয়া নিষেধ থাকলেও সেদিকেই মোড় নিচ্ছে একের পর এক প্রাইভেট কার। অনেক শিশু বা কিশোর চালককে লেগুনা বা হিউম্যান হলার নিয়ে রাজধানীর সড়কে নামতে দেখা গেছে গতকাল মঙ্গলবার। রংচটা, অনুপযুক্ত কিছু বাসও আগের মতোই বেপরোয়া গতিতে চলছিল। স্থানে স্থানে দেখা যায় যানজট। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় গত ২৯ জুলাই দুপুরে বেপরোয়াভাবে বাস চালিয়ে দুই শিক্ষার্থীর প্রাণ কাড়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবি জোরালো হতে থাকে। ওই দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি রাজধানীজুড়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কয়েক দিন ধরে তারা মন্ত্রীসহ প্রভাবশালী অনেকের গাড়ির উল্টোযাত্রা রুখে দেয়। পুলিশের গাড়ির লাইসেন্সও পরীক্ষা করে তারা। সড়কে আলাদা লেনে রিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন চালাতে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করে সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের এসব কাজের জন্য অভিনন্দন জানায় বিভিন্ন মহল। তবে শিক্ষার্থীদের ওই ‘অভিযান’ বন্ধ হওয়ার পর আবার বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে সড়কে।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার। এবারের ট্রাফিক সপ্তাহে মূল স্লোগান হলো ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতীয় সভ্যতার প্রতীক, সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন’। এই স্লোগান সামনে রেখে ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ অভিযানে নামে।
ট্রাফিক সপ্তাহ চললেও লাইসেন্সহীন চালক ও ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানেই ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ। সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার দিকে নজর নেই তেমন। বিআরটিএর অভিযানও লাইসেন্স-ফিটনেস পরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এসব অভিযানের কারণে অবশ্য রাজধানীতে গতকাল যানবাহন চলেছে ৫০ শতাংশের মতো। অভিযানের ফাঁক গলেও চলেছে ফিটনেসহীন লেগুনা, বাস, মোটরসাইকেল।
মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, দৈনিক বাংলা এলাকায় গতকাল লেন মেনে গাড়ি চলতে দেখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ সপ্তাহ চললেও এসব এলাকায় পুলিশকে তেমন তৎপর দেখা যায়নি। গুলিস্তানে দুজন সার্জেন্টকে সড়কদ্বীপে দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখা গেছে দুপুরে। ট্রাফিক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে পল্টনে মুক্তাঙ্গনের উল্টোদিকে সচিবালয়ের পাশে বানানো ক্যাম্পটি গতকাল দুুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে দেখা গেছে খালি।
দুপুর সোয়া ১টায় মতিঝিলে গিয়ে দেখা গেছে, শাপলা চত্বরের পাশে রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিল। তাদের একজন ডেমরার গোলাম মস্তুফা মডেল কলেজের ছাত্র রেদওয়ান কবীর। সে জানায়, মতিঝিল এলাকায় ১৪০ জন রোভার স্কাউট সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। তারা পুলিশকে সহযোগিতা করছেন। ট্রাফিক সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁরা দায়িত্ব পালন করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে এই রোভার স্কাউট বলেন, ‘আমরা জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি।’
দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে জিরো পয়েন্টের পাশে দেখা যায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বন্ধন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩০০৫) জিরো পয়েন্টের দিকে চলছিল। একই সময় বাসটির পাশে তেলবাহী ট্যাংকলরিও (ঢাকা মেট্রো ঢ ৪১-০০৬৮) চলছিল। আর ট্যাংকলরির ডানদিকে সড়কদ্বীপ ঘেঁষে চলছিল কয়েকটি রিকশা। নির্দিষ্ট কোনো লেনে যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পরই দুটি মোটরসাইকেল উল্টোপথে চলতে দেখা যায়।
দুপুর ২টা ১০ মিনিটে গুলিস্তানের দিক থেকে আকাশ সুপ্রভাত স্পেশাল সার্ভিস নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে পল্টন মোড় পেরিয়ে কাকরাইলের দিকে যাচ্ছিল। মোড় পেরোতেই বাসটি প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দেয় একটি রিকশাকে। রিকশাটি আটকে যায় বাসের সামনের বাম্পারে।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে মতিঝিলে শাপলা চত্বরের পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট মাহবুব শিকদারসহ আরো দুজন। একটি এফজেড নতুন মোটরসাইকেল চালিয়ে সেখানে যান এএসআই ওসমান। মোটরসাইকেলের পেছনে কোনো নম্বর প্লেট ছিল না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একজন চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। চেকপোস্টে ধরা পড়েছে।’ মালিক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাগজপত্র আনতে গেছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে সার্জেন্ট মাহবুব শিকদার বলেন, মামলা দেওয়া হবে।
‘শৃঙ্খলা সম্ভব নয়’ : স্কুলশিক্ষার্থীরা যে শৃঙ্খলা রাজধানীর সড়কে দেখিয়েছে তেমনটি পুলিশের পক্ষে করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে কয়েকজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, তা সম্ভব নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সার্জেন্ট বলেন, রাস্তার চেয়ে গাড়ি বেশি। কেউ কারো কথা শুনতে চায় না। কে কার আগে যাবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। আরেক সার্জেন্ট বলেন, ‘ঢাকা শহরে যে পরিমাণ রিকশা, যদি এক লাইনে করা হয় তাহলে যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুর পর্যন্ত লাইন হয়ে যাবে। এর পরও শেষ হবে কি না সন্দেহ।’ সার্জেন্ট মাহবুব শিকদার বলেন, ‘লাখ লাখ ছাত্র নেমে রাস্তায় দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদের ট্রাফিক পুলিশ কতজন? তারা যখন রাস্তায় নেমেছিল তখন ঢাকায় ৪০ ভাগের বেশি গাড়ি চলেনি। এ কারণে পেরেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তবে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব। এ জন্য গাড়িচালক ও রাস্তায় চলাচলকারীদের সচেতন হতে হবে। যত দিন সচেতন হবে না তত দিন সম্ভব নয়।’
ওভারব্রিজ নয় রাস্তাই পছন্দ : দুপুর সোয়া ২টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশের ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে অনেক নারী-পুরুষকে দেখা যায় বাসের ফাঁক গলে রাস্তা পার হতে। ওই সময় আবদুর রহিম নামের এক পথচারী অন্যদের সঙ্গে রাস্তা পেরিয়ে হাউস বিল্ডিংয়ের দিকে যান। ওভারব্রিজ ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভ্যাস হয়ে গেছে ভাই। ওভারব্রিজে উঠতে ইচ্ছা করে না। ওভারব্রিজে ছিনতাই হয়। ছিনতাইকারী, মাদকাসক্তরা শুয়ে থাকে।’
সিগন্যাল বাতি জ্বলে না : মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়ে সিগন্যাল বাতি ছিল। কিন্তু গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে কোনো সিগন্যাল বাতি জ্বলতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিলে দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্ট মাহবুব শিকদার বলেন, ‘আমরা ম্যানুয়ালি ট্রাফিক কন্ট্রোল করছি। এসব লাইটের বিষয়ে সিটি করপোরেশন বলতে পারবে।’ পল্টন এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পল্টনে আমরা ম্যানুয়ালি ট্রাফিক কন্ট্রোল করছি।’
মতিঝিলে রাস্তা দখল করে পার্কিং : দুপুর দেড়টায় ৬৯-৭০ মতিঝিলে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে রাস্তায় দেখা গেছে উন্নয়নের জন্য একদিকের রাস্তা কেটে রাখা। সেখানে চারটি লেনের মধ্যে দুটি বন্ধ। কাটা অংশের সামনে ঢাকা মেট্রো গ-১৯-৪৭৪৪ নম্বর প্রাইভেট কারসহ বেশ কিছু গাড়ি পার্ক করে রাখা ছিল। বেশির ভাগ গাড়ির চালককে পাওয়া যায়নি। এক গাড়িচালকের কাছে পার্কিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
বিমানবন্দর সড়কে সকাল সাড়ে ১১টায় বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের সামনে কোনো যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা যায়নি পুলিশকে। অন্যান্য দিন তা করা হয়। বিমানবন্দরের পাশাপাশি উত্তরায়ও ছিল একই অবস্থা। তবে হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে পুলিশের অভিযান ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছিল। গাড়ির কাগজপত্রে ত্রুটি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১৯টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং দুই হাজার ৯৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আগের দুই দিন উত্তরা ও বিমানবন্দর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের অভিযান ছিল জোরালো। তবে গতকাল ঢিলেঢালাভাব ছিল অভিযানে। সকালে উত্তরায় হাউস বিল্ডিংয়ের সামনে দেখা গেছে, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্টরা বিভিন্ন যানবাহন আটকে কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের আরোহীদের বেশি তল্লাশি করা হয়। মোটরসাইকেলের পেছনে সহযাত্রী থাকলে তার মাথায় হেলমেট না থাকলে মামলা ঠুকে দেন সার্জেন্টরা। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীদের সঙ্গে পুলিশ সার্জেন্টদের কথাকাটাকাটি হতেও দেখা গেছে। তা ছাড়া সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতও ছিলেন। এক সার্জেন্ট জানান, সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা ও অবৈধ যানবাহন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার অপরাধে ১৭টি মামলা এবং দুই হাজার ৯৪০ টাকা জরিমানা আদায় করেন আদালত। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার দায়ে তিনজন চালক এবং ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার না করায় ১৯ জন পথচারীকে দণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয় একটি বাস। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
মোটরসাইকেল আরোহী জুলহান মিয়া বলেন, ‘আমার মোটরসাইকেলের পেছনে এক আত্মীয় ছিল। কিন্তু তার মাথায় হেলমেট ছিল না। ট্রাফিক পুলিশ আটকে এর কারণ জানতে চায়। পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাইনি। সাজেন্ট নাছোড়বান্দা। মামলা দিয়েই ছাড়ল। ২০০ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে বলেছে।’ তবে মামলা করলেও কোনো রাগ-অভিমান নেই তাঁর। শিক্ষার্থীরা যে পথ দেখিয়েছে তা যেন কার্যকর হয় সেই কামনা করেন তিনি।
অন্যদিন জসীমউদদীন রোডের সামনে অভিযান চালানো হলেও গতকাল তা দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ট্রাফিক সপ্তাহে পুলিশ কঠোর আছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভিআইপি-সিআইপিও আইন অমান্য করলে কোনো রেহাই দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। সবাই যদি আমাদের সহায়তা করে তাহলে অল্প সময়েই ট্রাফিক সিস্টেম ভালোভাবেই চলবে। হাউস বিল্ডিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসায় এখানে অভিযানের চাপ কিছুটা কম। তবে অভিযান চলছে।’
বিমানবন্দর গোলচত্বরের সামনে ট্রাফিক পুলিশ পাওয়া যায়নি। তবে সার্জেন্টরা ব্যস্ত ছিলেন যানজট কমাতে। বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের এক সার্জেন্ট বলেন, ‘লেন বাই লেন যানবাহন চালানো হচ্ছে না। এটা বাংলাদেশ। শিক্ষার্থীরা যা শিখিয়ে দিয়ে গেছে তা আমরা ভুলতে বসেছি। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল অভিযান ছিল ঢিলেঢালা তা সত্য। তবে আমরা সক্রিয় আছি। মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে।’ এক ট্রাফিক কনস্টেবল বলেন, ‘আজ তেমন অভিযান হয়নি। অভিযানের মধ্যেই পথচারীরা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করতে টালবাহানা করেছে। সবার মধ্যে সচেতনতা আসতে হবে। তাহলেই ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে।’
দুপুর ১টায় কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আনোয়ারের হাতের ইশারায় শত শত গাড়ি থেমে যায়। সবাই ট্রাফিক সিগন্যাল মানছিল। ব্যতিক্রম ছিল শুধু সিগন্যাল ছেড়ে দেওয়ার পর বাসে যাত্রী ওঠানামায়। বাসে উঠতে গিয়ে একজনকে রাস্তায় পড়ে গিয়ে ব্যথা পেতে দেখা গেল। তাঁর নাম শরিফুল আলম। তিনি জানান, অনেকক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই তিনি ৬ নম্বর রুটের বাসে ঝুঁকি নিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন।
দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে এ রকম আরো দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে ট্রাফিক সার্জেন্ট বা ট্রাফিক ইনন্সপেক্টরকে এ ব্যাপারে তেমন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। দুপুর ১২টার দিকে মগবাজার মোড়সহ আশপাশের ট্রাফিক মোড়েও দেখা যায় একই রকম দৃশ্য। যদিও ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ির কাগজপত্র চেক করতে ব্যস্ত ছিলেন। কাকরাইলে ট্রাফিক ইনস্পেক্টর আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার অভ্যাস বাড়ছে। তবে যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় নিষেধ করার পরও ঝুঁকি নিচ্ছে। কিছু সমস্যা এখনো ঠিক করা যায়নি। তবে দ্রুতই এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। এখন বেশির ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে।
কাকরাইল মোড়ে বিজয়নগরের দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী ৬ নম্বর বাসে রাস্তার মাঝখান থেকে যাত্রী ওঠাতে শুরু করে। যাত্রীরাও দৌড়াদৌড়ি করে ঝুঁকি নিয়ে বাসে ওঠে। বাসটির (ঢাকা মেট্রো-ল-১৮৬৯-২৩) চালক রমিজ উদ্দিন ও হেলপার সুলতান। চালক বলেন, সিগন্যাল ছাড়ার পরই তিনি গাড়ি ছেড়েছেন। গাড়ি ‘সাইড’ করার আগেই যাত্রীরা উঠে পড়েছে। হেলপার বলেন, যাত্রীদের নিষেধ করলেও শোনে না। এর পরই আল মক্কা ট্রেডার্স নামের একটি বাসসহ (ঢাকা মেট্রো-ব ১১৮০-৮৩) আরো অনেক যাত্রীবাহী বাসে একইভাবে যাত্রী ওঠাতে দেখা যায়। সেখানে রিকশা নিয়ে এলোমেলে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে রিকশাচালক মো. আলী জিন্নাহ বলেন, ‘আমরাও যাত্রী ওঠানোর জন্য আছি। আসলে আমরা নিজেরাই আইন মানি না। রিকশাওয়ালারা বেশি খারাপ।’
‘শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে’ : ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রধান, অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ‘বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের তিন দিন গেল। এখন আমরা আইনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছি। লেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এখনই সম্ভব না। লাইসেন্স থেকে প্রতিটি আইনগত বিষয় যাচাই করছি আমরা।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অনেক কিছু সহজভাবে দেখা গেছে। তবে যখন বেশি গাড়ি থাকে তখন সামলানো কঠিন। একই সঙ্গে গাড়ির চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, আবার কাগজপত্রও যাচাই করতে হয়। এখন প্রতিটি পয়েন্টে রোভার স্কাউটে ছেলেরা সহযোগিতা করছে। মোবাইল কোর্টও চালানো হচ্ছে। আশা করছি বিশেষ সপ্তাহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।’
কাগজপত্র যাচাইয়ে তৎপর পুলিশ : বিকেল ৩টায় রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, গাড়ির চাপ অন্য দিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। মাইকে বাজছে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বৈধ কাগজপত্র রাখার নির্দেশনা। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে রোভার স্কাউট সদস্যরাও গাড়ি আটকে দলবেঁধে কাগজপত্র পরীক্ষায় সহযোগিতা করছে। বৈধ কাগজ না থাকলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। আবার কেউ কেউ মামলা না দিতেও অনুরোধ জানাচ্ছে। কড়াকড়িতে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না—এমন কথা বলে মামলা দিচ্ছে পুলিশ।
সরেজমিনে রাজধানীর মৎস্য ভবন, শাহবাগ মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও বিজয় সরণি ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, সিএনজি ও মোটরসাইকেল ধরতে তৎপর পুলিশ। সাতটি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা চলছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর কাউকে মামলা দিচ্ছে আবার বৈধ কাগজে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। আর রোভার স্কাউট সদস্যরা যানবাহনের ভেতর দিয়ে না চলতে জনগণকে সচেতন করছে। এদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে গণপরিবহন চলাচল অনেক কম ছিল।
শেকৃবি প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে রাজধানীর কলেজগেট, আসাদগেট, সংসদ ভবনসংলগ্ন আড়ংয়ের মোড়, খামারবাড়ি ও ফার্মগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে আগের চেয়ে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরলেও শিক্ষার্থীদের দেখানো পথ পুরোপুরি মানছে না ছোট-বড় গাড়ির চালক, পথচারী এমনকি ট্রাফিক পুলিশ। প্রাইভেট কার, সিএনজি ও রিকশাকে সড়কের যেখানে-সেখানে পার্কিং করতে দেখা গেছে। রিকশাচালকদের বেশির ভাগই পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে আছে রিকশাচালকরা। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল কমেছে। তবে তারা মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে আড়ংয়ের মোড়ে সার্জেন্ট আল আমিন বলেন, ‘লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন কিছু গাড়ি এখনো চলছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জন চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহীরা ট্রাফিক রুলস মানতে চায় না।’ তবে আইন প্রয়োগে ভিআইপিদের দ্বারা আগের মতো বাধাগ্রস্ত না হওয়ায় তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন।
বিকেল সোয়া ৫টায় ফার্মগেট এলাকায় এ্যালাইক ট্রান্সপোর্টের ঢাকা মেট্রো ব-১৩-০০৫৪ নম্বর গাড়ির চালক মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা আগের মতো চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে না। মনজুর হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সড়কের অবস্থা সাময়িক ভালো হয়েছে। তবে এমন অবস্থা সব সময় থাকবে কি না সে ব্যাপারে তিনি শঙ্কাও প্রকাশ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আহত কর্মীদের দেখতে গেলেন ডা: রুহুল হক এমপি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ অফিসে দুর্বৃত্তদের হামলায় দলের আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আহতদের দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুলসহ উদ্ধর্তন নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় শের এ বাংলা নগর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হসপিটালে যান। হাসপাতালে দুর্বৃত্ত্বদের হামলায় এক চোখ বিকল হয়ে যাওয়া সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি সহ চার জনের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশ পাঠাতে নির্দেশ দেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সড়ক ও জনপদ কর্মকতাদের স্বেচ্ছাচারীতায় পথে বসতে চলেছে ছয়টি পবিরার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারীতায় পথে বসতে চলেছে ছয়টি পবিরার। মঙ্গলবার দুপুরে ইটাগাছা পুলিশ ফাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ইটাগাছা সুরাত আলীর বোবা (প্রতিবন্ধী) কন্যাকে বিয়ে দেয় আঃ রউফের সাথে। সেই সুবাদে আঃ রউফকে রাস্তার ধারে দোকান করার জন্য জায়গা দিয়েছিল। বিয়েরপর থেকে প্রায় ২৬ বছর যাবত আঃ রউফ সেখানে দোকান করে আসছে।
এছাড়াও মোঃ মিন্টু হোসেন, আসলাম, ইব্রাহিম ও ইয়াছিন ওয়ার্কশপের দোকান করে আসছিলাম। উক্ত ব্যক্তিরা সুরাত আলীর পুত্র রফিকুল, নজরুল ও মঞ্জুয়ারার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে ওয়ার্কশপের দোকান পরিচালনা করে আসছিলো।
ভুুক্তভোগীরা আরো জানায়, সড়ক ও জনপদের কর্মচারীরা আমাদের কোনো নোটিশ ছাড়াই মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় এতদিনের দোকানঘর গুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা মেইন রাস্তা থেকে প্রায় ৩০ গজ দুরে দোকান করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমাদেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুরো ভেঙে দেওয়ায় আমরা এখন পথে বসে গেছি। তারা আরো জানায়, রাস্তার ১০ গজ দুরে অনেকেই বিভিন্ন দোকান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সড়ক বিভাগের লোকজন তাদের কিছুই বলছে না।
এ বিষয় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এঁটা সড়ক বিভাগের জায়গা। আমরা ইচ্ছা করলেই যেকোনো সময় এই জায়গা উদ্ধার করতে পারি। কারন এাঁ সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই জায়গা নিয়ে দুদকেও অভিযোগ রয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকেও উক্ত জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশ রয়েছে। এঁ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে পর্যায়ক্রমে সকল সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন দিনে সাতক্ষীরায় পুলিশ ও বিআরটিএ’র যৌথ অভিযানে ৭৩২ টি মামলা, ৪৭ টি যান জব্দ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও গত রবিবার থেকে ‘ ট্রাফিক সপ্তাহ’ শুরু হয়েছে। আর এই ট্রাফিক সপ্তাহে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ ও বিআরটিএ’র যৌথ আভিযানিকদল। “ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করুন, ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক।’ এই শ্লোগান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গত রবিবার থেকে এই ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়।
সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট, খুলনা রোড মোড়, বিনেরপোতা, পালিটেকনিক মোড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ ও বিআরটিএ যৌথ অভিযান চালিয়ে যানবাহনে ব্যাপকভাবে কাগজপত্রে তল্লাশি চালাচ্ছে। ট্রাফিক সপ্তাহের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান শহরের বিভিন্ সড়ক-মহাসড়কে দাড়িয়ে এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি নিজেই যাবাহনের কাগজ পত্র চেক করেছেন।
সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক প্রকৌশলী তানভির আহমেদ ও জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা এস.আই মিজান জানান, ফিটনেস, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় গত তিন দিনে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ৭৩২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । এছাড়া কোন কাগজপত্র না থাকায় মোটরসাইকেল, পিকআপ ও বাসসহ বিভিন্ন প্রকার ৪৭ টি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। তারা আরো জানান, তাদের এ অভিযান আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় প্রধান মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেবিএ কলেজের শুভেচ্ছা মিছিল

দেবহাটা প্রতিনিধি: ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি মেনে নেওয়ায় প্রধান মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল ও পথসভা করেছেন দেবহাটার খান বাহাদুর আহছান উল্লা কলেজ। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার সখিপুরস্থ কেবিএ কলেজের আয়োজনে শুভেচ্ছা র‌্যালী শেষে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে শুভেচ্ছা র‌্যালীটি কলেজ ক্যাম্পাস হতে বের হয়ে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সখিপুর মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কলেজের অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, কেবিএ কলেজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আসিফ মাহমুদ, জাকির হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক আকরম হোসেন, শাহনুর রহমান, সঞ্জয় কুমার, শচিন্দ্র নাথ, হাসান কবীর, তৌহিদুজ্জামান, আবু তালেবসহ বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest