সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

দীপিকার তারকা খ্যাতির নেপথ্যে ঐশ্বরিয়া!

বিনোদন সংবাদ: সঞ্জয় লীলা বানশালির ‘পদ্মাবত’ ছবিতে রানি ‘পদ্মাবতী’-র চরিত্রে অভিনয় করেন দীপিকা পাডুকন। কিন্তু, সেখানে দীপিকা নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দে ছিলেন ঐশ্বরিয়া রায়। কিন্তু সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় কপাল খুলে যায় দীপিকার।

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ঐশ্বরিয়া নিজেই। শুধু তাই নয়, ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিতেও নাকি তার অভিনয় করার কথা ছিল। ঐশ্বরিয়ার দাবি, এই ছবি থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন।

‘বাজিরাও মাস্তানি’ এবং ‘পদ্মাবত’ থেকে ঐশ্বরিয়া সরে আসার পরই তাঁর জায়গায় দীপিকা পাডুকনকে কাস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি। অবশ্য ক্ষতিটা হয়েছে ঐশ্বরিয়ারই। কারণ দুটি ছবিই বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাই তো অনেকেই বলছেন, ঐশ্বরিয়া এভাবে সুযোগ না করে দিলে এত দ্রুত তারকা খ্যাতি পাওয়া হতো না দীপিকার।

তবে ‘পদ্মাবত’ থেকে কেবল ঐশ্বরিয়া নয়, শাহরুখ খানও সরে যান নিজেকে সরিয়ে নেন। আলাউদ্দিন খলজির চরিত্রে শাহরুখ খান-কে কাস্ট করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা বানশালি। কিন্তু, বনশালির ‘পদ্মাবত’-এ তিনি আলাউদ্দিন খলজির চরিত্রে অভিনয় করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন শাহরুখ খান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অর্থ পাচার আইনে অভিযুক্ত মালেশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব

বিদেশের খবর: আজ বুধবার মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে মালয়েশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী কমিশন (এমএসিসি)-র অফিসে তলব করা হয়। সেখানে তাঁকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এক বিবৃতিতে এমএসিসি জানিয়েছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারবিরোধী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে।

এমএসিসি-র বিবৃতিতে বলা হয়, এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় এই অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে ওয়ানএমডিবি’র সাবেক এই ভুতর্কি পাওয়া প্রতিষ্ঠান এসআরসি ইন্টারন্যাশনালের তহবিল নাজিবের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গত মাসে নাজিবের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গসহ ওয়ানএমডিবি তহবিলের অর্থ নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের অভিযোগ আনা হয়। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি ১০ লাখ রিংগিতের বিনিময়ে জামিন পান। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজিব। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্ধক্য প্রতিরোধে করণীয়

স্বাস্থ্য কণিকা: বয়সের সাথে দিন দিন বার্ধক্যের দিকে আমরা সবাই অগ্রসর হই এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু বয়সের আগেই বার্ধক্য স্বাভাবিক নয়। অনেক কারণেই অকাল বার্ধক্য দেখা দিতে পারে। যেমন-অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ঘুম কম হওয়া, শারীরিক অসুস্থতা, খাবারে অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে বার্ধক্য দেখা যায়। তাই কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে বার্ধক্য অনেকদিন আটকে রাখা যাবে এবং রোগ ব্যাধিও দূরে থাকবে। তবে এ জন্য প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার থাকতে হবে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার যে দামি খাবার তা নয়, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে এটি পাওয়া যায়। বিটাক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, লাইকোপিন, ক্রিপট্যোআনথিন, পলিফিনলিক এসিড, ট্যানিন, ভিটামিন এ, সি, ই, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়রন ইত্যাদিকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বলে বার্ধক্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, পালংশাক, পুঁইশাক, লাউশাক, কুমড়াশাক, ধনে পাতা, পুদিনাপাতা, সজনে ডাটা, নটেশাক ইত্যাদিতে বিটাক্যারোটিন থাকে। ঢেঁড়স, সয়াবিন, মটরশুঁটিতে থাকে আলফা ও বিটাক্যারোটিন। টমেটো, তরমুজ ও লাল নটেশাকে আছে প্রচুর লাইকোপিন যা উঁচুমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। পাকা কুমড়া, পাকা পেঁপে, কমলালেবু, পাকা আম ইত্যাদিতে আছে ক্রিপটোঅ্যানথিন এবং বিভিন্ন রঙিন শাক-সবজি ও ফলমূলে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড শ্রেণির প্রায় ৩০০ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

টাটকা শাক-সবজিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ছাড়াও আছে ভিটামিন এ ও সি, কালো জামে লিউটন, আনারস, টমেটো, বাতাবীলেবুসহ সব রকম লেবু, আপেল, কলা, পেয়ারা, বেদানা ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা ফ্রি-রেডিকেলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শরীরের কোষ প্রাচীরে ভিটামিন ই নি:সরণে সাহায্য করে।

নানা রকম শস্য যেমন— চাল, গম, সয়াবিন, ডাল, কিশমিশ, মরিচ, খেজুর, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, দুধ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অনন্য উৎস। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মসলা যা আমরা রান্নায় ব্যবহার করি তাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে। তাই আবারো বলতে হয়, সুস্থ নীরোগ জীবন এবং বার্ধক্য বিলম্বিতসহ দীর্ঘজীবী জীবন পেতে হলে খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অবশ্যই খেতে হবে।

লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রক্তস্বল্পতা ও প্রতিকার

স্বাস্থ্য কণিকা: মানুষের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত থাকে। রক্তের পরিমাণ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্বারা মাপা হয়। যখন এই নির্দিষ্ট মাত্রা থেকে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় তখন একে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া বলে। রক্তস্বল্পতা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় ও ঋতুস্রাবের কারণে মহিলাদের রক্তস্বল্পতা বেশি দেখা যায়।

রক্তস্বল্পতা হলে শরীরে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। যেমন: ক্লান্ত লাগা, শরীর দুর্বল হয়ে পড়া, কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া দীর্ঘ দিন বা কোনো কারণে রক্ত স্বল্পতা থাকলে হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যাও হতে পারে।

রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করতে হলে আয়রণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ডিম, সবুজ শাক-সবজি, টমেটো, বাদাম, ব্রকলি, ডালিম, সাইট্রাস ফল, সিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখে।

এ ছাড়া, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোহলিকে টেন্ডুলকারের পরামর্শ

খেলার খবর: রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তিনি করেছেন মোট ১৯১ রান। অর্ধশতক ছিল দুটি। এরপর টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে কোহলি করেছেন কাঁটায় কাঁটায় ২০০ রান। এ রকম দুর্দান্ত নৈপুণ্যের মধ্যেই কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার পরামর্শ দিয়েছেন অনুজকে।
কোহলিকে শুরুতেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টেন্ডুলকার। আর এরপর পরামর্শ দিয়েছেন এই রানের ক্ষুধা যেন কোনোভাবেই কমে না যায়। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘আমি বলব, চালিয়ে যাও। কোহলি দুর্দান্ত খেলছে। এখন তার এটা অব্যাহত রাখা দরকার। তোমার চারপাশে কী হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করো না। নিজে কী অর্জন করতে চাও, সেদিকে মনোযোগ দাও। আর তোমার হৃদয়ই তোমাকে পথ দেখাবে।’
ক্রিকেটবিশ্বকে বিস্ময়কর সব মাইলফলকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অবসরে গিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান, শতকের রেকর্ডগুলো আছে শচীনেরই দখলে। এই রেকর্ডগুলো কখনো ভাঙবে কি না, এমন সংশয় খুব ভালোমতোই ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে বিরাট কোহলি যেভাবে খেলে যাচ্ছেন, তাতে অনেকেই মনে করতে শুরু করেছেন যে একদিন হয়তো কোহলিই ছাড়িয়ে যেতে পারবেন টেন্ডুলকারকে।
তবে সে জন্য অবশ্য এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে কোহলিকে। টেস্ট ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের সংগ্রহ ১৫,৯২১ রান। আর কোহলির ঝুলিতে জমা হয়েছে মাত্র ৫,৭৫৪ রান। তবে ওয়ানডেতে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়েছেন কোহলি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর মোট সংগ্রহ ৯,৭৭৯ রান। আর মাত্র ২২১ রান হলেই ১৩তম সদস্য হিসেবে তিনি ঢুকে যাবেন ১০ হাজার রানের ক্লাবে। আর টেন্ডুলকার শীর্ষে আছেন ১৮,৪২৬ রান নিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ আটক ৫৮

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে পাঁচ মাদক মামলায় আসামী ও এক জামায়াত কর্মীসহ ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৪ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ১১ জন, শ্যামনগর থানা ১৩ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্ত্বরে চাঁদাবাজ সেলিম আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে এবার কালেক্টরেট চত্তরে মোটর সাইকেলের নাম্বারপ্লেটে দালালী করতে এসে ধরা খেয়েছে একজন জনপ্রতিনিধির হয়ে চাঁদা তোলা সেলিম। ধরা খাওয়ার পর সেলিম শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে চাঁদাবাজি ও দালালীর কথা স্বীকার করে জানায়, আদায়কৃত চাঁদার টাকার ভাগ কিছু দলীয় নেতাকর্মীদের দিতে হয়। এসময় রীতিমত গণধোলাইয়ের শিকার হয় সেলিম। দোষ স্বীকার করায় পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। এসময় সেলিমের আরেক সহযোগী লিটু ভোঁ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে এ যাত্রায় রেহাই পেয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রতিদিন সাতক্ষীরায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অসংখ্য অবৈধ যানবাহন ধরে মামলা দেয়া হচ্ছে। ফলে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহযোগিতায় ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসছেন শতশত মানুষ। যাতে দালাল চক্র সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি বা অতিরিক্ত ৫০০ টাকা না নিতে পারে। এর পরেও থেমে ছিল না দালালরা! একজন সাংবাদিক তার নিজের মোটর সাইকেলের ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নিতে সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার সময় যান শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে। সেখানে কোন লোকজন না পেয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন এখন ডিজিটাল নম্বর প্লেট দেয়া হচ্ছে জেলা কালেক্টরেট ভবনে। তারপর ওই সাংবাদিক আরো দুজন সাংবাদিককে নিয়ে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট আনতে সোমবার বেলা ৩টায় সেখানে যান। কিন্তু সেখানেও ছিলনা টাইগার আইটি সফ্টওয়ার কোম্পানির কোন কর্মকর্তা। এমন সময় সাংবাদিকের কাছে এগিয়ে আসলেন সেলিম নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সেলিম ওই সাংবাদিককে ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট দেয়ার শর্তে নগদ ৫০০ টাকা দাবি করেন। এরপর চুক্তির এক পর্যায়ে সেলিম কাগজপত্র চান? এসময় সেলিমের সাথে থাকা লিটু নামে এক ব্যক্তি ৪০০ টাকায় কাজটি করতে রাজি হন। এখবর ততক্ষণে জেলা প্রশাসকের কাছে পৌছে যায়। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন এসময় জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এরপর বিকাল ৩টা ৮মিনিটে সেলিমের কাছে টাকা দেওয়ার সময় মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাকে হাতেনাতে আটক করেন এবং সকল অপরাধ স্বীকার করায় তাকে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

সূত্র: পত্রদূত অনলাইন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আসিফের মামলার প্রতিবেদন ১ অক্টোবর

দেশের খবর: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ আগস্ট) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহা এ নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।
পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্ট এর চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন-এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উস্কানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।
এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest