সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

বাস চালকের লাইসেন্স চেক করতে যাত্রীদের প্রতি পুলিশের অনুরোধ

দেশের খবর: রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা আট দিন উত্তাল ছিল সারাদেশ। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ট্রাফিক সপ্তাহ। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স চেক করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সক্রিয় দেখা যায় পুলিশকে। মিরপুর থেকে ‘জাবালে নূর’ পরিবহনের একটি বাসের চালক যথারীতি লাইসেন্স পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা দিয়ে বাসটি ছেড়ে দেন পুলিশ কর্মকর্তা এম সজীব।

ওই সময় তিনি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, বাসে উঠে সবার আগে ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করবেন। জনগনের সহায়তা ছাড়া পুলিশ একা এসব পারবে না।’

এসময় যাত্রীরা অভিযোগ তুলে বলেন, এতদিন যদি পুলিশ সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করত, তবে এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে পড়ত না। পুলিশ-যাত্রীদের এই কথপকোথন চলাকালে বাসটির চালক মোবাইল ফোনে লাগাতার কথা বলে যাচ্ছিলেন
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রবিবার এই জাবালে নূর কম্পানির দুটি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ যায় ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া দুই কিশোর-কিশোরীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কানাডার সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করল সৌদি আরব

বিদেশের খবর: সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা সৌদি এয়ারলাইনস কানাডার সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থগিত করেছে। এর আগে সৌদি আরবে আটক সুশীল সমাজের সদস্য ও নারী অধিকার কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায় কানাডা।
সোমবার কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে কানাডার রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করে রিয়াদ।
কানাডা জানিয়েছে, দেশটি মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা অব্যাহত রাখবে।
সৌদি আরবে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কারাবন্দি ব্লগার রাইফ বাদাওয়ির বোন সামার বাদাওয়ি রয়েছেন। সৌদি বংশোদ্ভূত সামার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, কূটনীতিককে বহিষ্কার করায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘কানাডা সবসময় মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করে যাবে। বিশ্বজুড়ে নারী অধিকার, বাকস্বাধীনতার পক্ষে তারা সোচ্চার থাকবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া বলেন, ‘এসব মূল্যবোধকে উৎসাহ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কখনো দ্বিধান্বিত থাকব না। আমরা বিশ্বাস করি, এই কথা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ঝুঁকিপূর্ণ।’
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের এর আগে বলেন, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কানাডা অবস্থান নিয়েছে। সৌদি আইন অনুযায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সৌদির নারী অধিকার কর্মী মানার আল-শরিফ কানাডাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর প্রতি একই অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বার্নিকাটকে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের খবর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।মন্ত্রীর ইস্কাটনস্থ সরকারি বাসভবনের ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সেলর বিল মুয়েলার উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা অবধি চলা পররাষ্ট্র ভবনের বৈঠক শেষে সরকার বা দূতাবাস কোনো পক্ষেরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য মেলেনি। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয় ।
পররাষ্ট্র ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে সচিব ও রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা উভয়ে ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। বৈঠক প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র বলছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনিবার রাতে আচমকা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদপুরে একটি ফেয়ারওয়েল ডিনার বা বিদায়ী নৈশভোজ থেকে ফেরার পথে জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাটের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় বিস্মিত কূটনৈতিক সম্প্রদায়।
এ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং হতাশ। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি জানার পরদিন সরকারের তরফে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের খোঁজ নেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও রোববার বাংলাদেশ সরকারকে নোট ভারবার পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবহিত করে এবং ঘটনার স্বচ্ছ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জোর দাবি জানায়। মার্কিন দূতের গাড়িতে হামলাকারী অস্ত্রধারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার তাগিদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। মার্কিন দূতাবাসের তরফে রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার ঘটনার পাশাপাশি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রোববার পৃথক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জরুরি বৈঠক আহ্বান করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যার ফলে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র ভবনে বৈঠকটি হয়।
সোমবার কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক কূটনৈতিক পত্রে এ অনুরোধ জানিয়েছে।
ওই হামলার বিবরণ দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) দেওয়া পত্রের একটি অনুলিপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে দূতাবাস। এতে বলা হয়েছে, নাগরিক অধিকার সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে রাষ্ট্রদূতের বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক শনিবার রাত ১১টার দিকে তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের সদস্যরা হামলাকারীদের মধ্যে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। হামলার সময় ওই দুই ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘বদিউল আলম সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।’ হামলাকারীরা গাড়িবহরের দিকে এগোনোর সময় তাদের বাধা দেওয়া হলে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুই সদস্যকে ঘুষি মারে হামলাকারীরা। তবে রাষ্ট্রদূত ও তাঁর নিরাপত্তা দলের সদস্যরা যে অক্ষত অবস্থায় ওই এলাকা ছেড়ে গেছেন, তা মার্কিন দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। তবে গাড়িবহর চলে যাওয়ার সময় দুটি গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত হানে হামলাকারীরা।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলার পরদিন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো, বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক এবং কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রিফন্টেইন যৌথভাবে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটসহ সম-সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন- মার্কিন দূতের গাড়িতে হামলার ঘটনাটি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশ সরকারের তদন্তের ফল দেখার অপেক্ষায় রয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চালু হচ্ছে ১২ পয়েন্টের ড্রাইভিং লাইসেন্স

দেশের খবর: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে মোটরযানের চালকের নেওয়া লাইসেন্সে পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে, যা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় বিদ্যমান। সড়কে গাড়ি চালানোর সময় মোটরযানের চালক দ্বারা সংগঠিত ছোট ছোট অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিল করার টার্গেট থেকেই এই সিস্টেমটি যুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন আইনের ১১ ধারায় বলা হয়েছে, মোটরযানের চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ১২টি পয়েন্ট দেওয়া হবে। এক একটি অপরাধের জন্য একটি পয়েন্ট কাটা যাবে। অপরাধ বাড়তে থাকলে পয়েন্ট কমতে থাকবে। এক সময় পয়েন্ট কাটতে কাটতে ১২টি পয়েন্ট শেষ হয়ে গেলে বা নীল হয়ে গেলে অটোমেটিকভাবেই চালকের লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ এর ১১ ধারায় বলা হয়েছে, রাস্তায় লাল বাতি অমান্য করে গাড়ি চালিয়ে গেলে পয়েন্ট কাটা যাবে। একইভাবে রং সাইড দিয়ে গাড়ি চালালে, জেব্রা ক্রসিং অমান্য করে গাড়ি চালালে পয়েন্ট কাটা যাবে। নির্দিষ্ট স্থান রেখে গাড়ি পার্কিং করলে লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা যাবে। একইভাবে সিটবেল্ট না বাঁধলে পয়েন্ট কাটা যাবে। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এমন স্থান থেকে ওভারটেক করলেও পয়েন্ট কাটা যাবে। রাস্তা পারাপারের স্থানে পথচারীকে রাস্তা পারাপারের সুযোগ না দিলেও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা যাবে। এভাবে মোট ১২টি পয়েন্ট রাখা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির চালক কোনোভাবেই মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালালেও পয়েন্ট কাটা যাবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ডে এমন বিধান রয়েছে। সেই সব দেশের সড়কের আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই নতুন সড়ক পরিবহন আইনে এ ধারাটি সংযোজন করা হয়েছে। ‘

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রীস্বার্থ রক্ষা হয়নি’

দেশের খবর: মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ তে যাত্রী স্বার্থ রক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়নে সরকারের দেওয়া অঙ্গীকার ও জনগণের প্রত্যাশা এই আইনে পূরণ হয়নি। এই আইন দিয়ে চালকদের অমানবিক ও বেপরোয়া মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। পুরোনো আইনে মালিক-শ্রমিক স্বার্থরক্ষায় মালিক-শ্রমিক-সরকার মিলেমিশে গণপরিবহন পরিচালনার কমিটি গঠন করায় এই সেক্টরে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে যাত্রীস্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে। যাত্রীর প্রতিনিধিত্ব আইনে অন্তর্ভুক্ত না করে পূর্বের ন্যায় মালিক-শ্রমিক-সরকার মিলেমিশে গণপরিবহন পরিচালনা, বাস ভাড়া নির্ধারণ, আঞ্চলিক পরিবহন পরিচালনা কমিটি (আরটিসি), জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব ক্ষেত্রে যাত্রীর প্রতিনিধিত্ব তথা জনপ্রতিনিধিত্ব উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাখা হয়নি।
বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ কল্যাণ সমিতির দাবি অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা তহবিল গঠনের বিষয়টি আইনে অন্তর্ভুক্ত করে দুর্ঘটনা কবলিত জনসাধারণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাইসেন্স চেক করতে যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ পুলিশের

দেশের খবর: রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা আট দিন উত্তাল ছিল সারাদেশ। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ট্রাফিক সপ্তাহ। এর অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স চেক করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সক্রিয় দেখা যায় পুলিশকে। মিরপুর থেকে ‘জাবালে নূর’ পরিবহনের একটি বাসের চালক যথারীতি লাইসেন্স পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা দিয়ে বাসটি ছেড়ে দেন পুলিশ কর্মকর্তা এম সজীব। ওই সময় তিনি যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, বাসে উঠে সবার আগে ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করবেন। জনগনের সহায়তা ছাড়া পুলিশ একা এসব পারবে না।’
এসময় যাত্রীরা অভিযোগ তুলে বলেন, এতদিন যদি পুলিশ সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করত, তবে এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে পড়ত না। পুলিশ-যাত্রীদের এই কথপকোথন চলাকালে বাসটির চালক মোবাইল ফোনে লাগাতার কথা বলে যাচ্ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রবিবার এই জাবালে নূর কম্পানির দুটি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ যায় ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া দুই কিশোর-কিশোরীর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লাইসেন্স ফিটনেসে টাকার খেলা

দেশের খবর: সোমবার দুপুর ২টা। রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) প্রাঙ্গণে হাজারো গাড়িচালকের ভিড়। গাড়ির লাইসেন্সের আবেদন করতে কেউ এসেছেন, কেউ বা ভিড় করেছেন গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করাতে, মালিকানার কাগজ নিতে কিংবা কেউ অন্য কোনো সেবা নিতে। তিলধারণের ঠাঁই নেই একেকটি কক্ষের সামনে। ভিড়ের চাপে কোনো শাখায়ই কার্যক্রম চলছিল না ঠিকঠাক। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে দেখা যায় সংস্থার জেনারেটরও চলছে না। ফলে অচল হয়ে পড়ে কম্পিউটার ব্যবস্থা। কার্যালয়ের সামনে কথা হয় অটোরিকশাচালক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। আনোয়ার জানান, তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে গাড়ি চালাচ্ছেন। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স ছিল, পরে আর আবেদন করেননি, পুরনো লাইসেন্সও হারিয়ে গেছে। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া জরিমানার স্লিপ দেখিয়েই তিনি এত বছর সড়কে সক্রিয় ছিলেন।
আনোয়ারের স্লিপ পড়ে জানা গেল, সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় সায়েদাবাদে লাইসেন্স না থাকায় তাঁকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা জমা দিতে হবে ১৯ আগস্টের মধ্যে। তাঁর অটোর নিবন্ধন নম্বর : ঢাকা মেট্রো-থ-১৩৮৭২১। আনোয়ার বলেন, ঘুষ না দিলে লাইসেন্স মেলে না, দিনের পর দিন ঘুরতে হয়—এই ভয়ে বিআরটিতে এত বছর আবেদন করেননি। রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার ইব্রাহীম মহাজনের অটো চালান আনোয়ার। প্রতিবছর গাড়ি পরীক্ষা করিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হয়, কিন্তু তিনি গাড়ি না এনেই দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ফিটনেস সনদ নিয়ে থাকেন।
রাজধানীর বিভিন্ন বাস কম্পানির বাস বিআরটিএতে না এনেই ফিটনেস নেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ে বাসচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দেখেন বাস, ট্রাক কয়ডা আছে? ১০-১২টা আর প্রাইভেট কার ২০০।’
ফিটনেস পরীক্ষা করতে মিরপুর বিআরটিএতে ২০১৬ সালে ডিজিটাল গাড়ি পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অন্য কোথাও এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেই। ১৯৯৬ সালেই এ ধরনের পরিদর্শন ব্যবস্থা বিআরটিএর বিভিন্ন কার্যালয়ে স্থাপনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। বাধা হয়ে দাঁড়ান বিআরটিএর কর্মকর্তারাই। শেষ পর্যন্ত সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্যোগী হয়ে এই কেন্দ্র স্থাপন করিয়েছেন। সড়কমন্ত্রী বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ে বারবার অভিযান চালিয়েছেন সেবা পরিস্থিতি দেখতে, দালালমুক্ত সেবাকেন্দ্র গড়তে। তবে এসব তৎপরতার ফাঁকেও দালালরা কর্মকর্তাদের ইশারায় ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, গতকালও বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয় থেকে চারজন দালালকে আটক করা হয়েছে।
বিভিন্ন কম্পানির বাস ও ট্রাক উপস্থিত না করিয়েই ফিটনেস সনদ দিতেন মিরপুর কর্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক আবদুল জলিল। তাঁকে ১১ মাস আগে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়েছে। জানা গেছে, তাঁকে সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
গত জুনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিআরটিএতে নিবন্ধিত গাড়ির বিপরীতে লাইসেন্সহীন গাড়ি চলছে প্রায় ১৬ লাখ। সংস্থার সর্বশেষ তথ্যানুসারে, প্রায় পাঁচ লাখ গাড়ির ফিটনেস নেই। তবে যেসব লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে তার একটি অংশ ঘুষ দিয়ে, যথাযথভাবে পরীক্ষা না দিয়েই নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর মিরপুর, ইকুরিয়া, উত্তরাসহ দেশে বিআরটিএর কার্যালয় আছে ৬০টি। এসব কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া ফাইল দ্রুত হাঁটে না।
রাজধানীতে অটোরিকশার নিবন্ধন আছে প্রায় ১৩ হাজার। এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এগুলো নিয়ম অনুসারে ধ্বংস করে প্রতিস্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত এপ্রিল থেকে। এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৫৬১টি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক অটোরিকশা ধ্বংস (স্ক্র্যাপ) করতে মালিকদের ঘুষ দিতে হয়েছে। অটোপ্রতি ২০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগী মালিকরা জানিয়েছেন।
ঘুষ বা উেকাচ না দিলে মালিকদের হয়রানি ও লাঞ্ছিতও করা হচ্ছে। গত ১৮ জুলাই মকবুল হোসেন নামের এক অটোচালককে বিআরটিএ ইকুরিয়া কার্যালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন ওই কার্যালয়ের কর্মরত সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) গোলাম হায়দার। মকবুলের ২৫টি অটোরিকশা আছে। গোলাম হায়দার সেদিন মকবুলের ওপর ক্রোধান্বিত হয়ে বলেছিলেন, দালালের কাছে গেছেন কেন? আমাকে দেখেন না? পরে মকবুলকে তিনি টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অটোরিকশার মালিক শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘অটোরিকশাপ্রতি ২০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে স্ক্র্যাপ করাতে গিয়ে। আমার দুটি অটোরিকশার মধ্যে একটি স্ক্র্যাপ হয়েছে। একটি (ঢাকা মেট্রো-থ-১২৭৩৬৪ ) স্ক্র্যাপ করা হয়নি ঘুষ দিতে পারিনি বলে। আমি মিরপুর বিআরটিএ অফিসে মাসুদ আলমের কাছে বারবার গিয়েছি, বলেছি আমার ছেলে প্রতিবন্ধী, আমার ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্য নেই। বিআরটিএ ইকুরিয়ার সহকারী পরিচালক গোলাম হায়দার বলেছেন, একটির স্ক্র্যাপ হয়েছে, আর হবে না।’
অটোরিকশা মালিক লিটন জানান, স্ক্র্যাপ করার আগে দালালরা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়া হয়েছে এমন অটোরিকশার নিবন্ধন নম্বরগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। স্ক্র্যাপ করার দিন কর্মকর্তার হাতে থাকা তালিকায় টিক চিহ্ন দেওয়া থাকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে এমন অটোরিকশার নম্বরের পাশে। ঘুষ দেওয়া হলে কোনো মালিকের দুটি বা তিনটি গাড়িও স্ক্র্যাপ করা হয়, ঘুষ না দিলে ঘুরতেই হয়।
বিআরটিএ ইকুরিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রকৌশল) গোলাম হায়দার বলেন, ‘আমরা স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে ঘুষ বা অন্য কোনো অনিয়ম করিনি। একটি গাড়ির চেসিসে ১১টি ডিজিট থাকে। কোনোটি মুছে গেছে—এ ধরনের ত্রুটি পেলে অধিকতর তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ কামিটির কাছে পাঠানো হয়ে থাকে অটোরিকশা। আমি ইকুরিয়ার অফিসে আমার শাখায় আটটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি। দেয়ালে বিজ্ঞপ্তি লেখা রয়েছে : অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যাংকে করবেন, সকলের গতিবিধি সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন আমরা ১৫০টি অটো ভাঙছি, সবগুলোই কি ত্রুটিমুক্ত? যারা অভিযোগ করছে তারা সংক্ষুব্ধ হয়েই করছে, তবে এ অভিযোগ করা হচ্ছে ঢালাওভাবে। আমাদের অফিসের বাইরে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় দালাল আছে। তবে ভেতরে নেই।’
পাঁচ সদস্যের অটোরিকশা স্ক্র্যাপ কমিটির সভাপতি, বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা এবার শান্তিপূর্ণভাবে অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করেছি। চেসিস ও ইঞ্জিনে ত্রুটি পাওয়া গেলে অধিকতর তদন্তের জন্য হয়তো কিছু অটো স্ক্র্যাপ করা হয়নি। এ ছাড়া কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে কোনো অনিয়মের অভিযোগ করতে পারেন, তবে অভিযোগ সত্য নয়।’
লাইসেন্স নিতে কিভাবে কোন কোন পর্যায়ে এই ঘুষ দিতে হয় এর খোঁজ নিতে গেলে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে জানা যায়, একটি লাইসেন্স নিতে গেলে কমপক্ষে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। দালালের মাধ্যমে নেওয়া ঘুষ ভাগবাটোয়ারা হয় সংশ্লিষ্ট শাখার কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে। বিশেষ তদবির ছাড়া সাধারণ মানুষকে প্রথমে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাত দিনেও দেওয়া হয় না। তবে দালাল ধরলে এক দিনেই এই লাইসেন্স পাওয়া যায়। শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়ার আট-নয় মাস পর মৌখিক, লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে দালাল ধরে ঘুষ দিলে দুই মাসের মধ্যেই পরীক্ষার তারিখ পাওয়া সম্ভব। দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ও পরীক্ষায় পাস নিশ্চিত করতে দালালকে লাইসেন্সপ্রতি দিতে হয় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ থেকে অস্থায়ীভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র নিতেও ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়, না হলে এই অনুমতিপত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনঃপরীক্ষার জন্য দিতে হয় কমবেশি তিন হাজার টাকা। পেশাদার লাইসেন্সের পুলিশ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পেতেও ঘুষ লাগে। পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে তদন্তের জন্য গেলে তা তদন্ত শেষে পুলিশের বিশেষ শাখায় ও পরে বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এই তদন্ত প্রতিবেদন মাসের পর মাস খুঁজে পাওয়া যায় না। ঘুষ না দিলে এ ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এ বিষয়ে গাড়িচালক ইব্রাহীম আলী বলেন, টাকা দিলেই হয়, পরীক্ষাও লাগে না। এই লাইসেন্স পেয়ে সড়কে চালকরা সঠিকভাবে গাড়ি চালাবে কিভাবে? সড়কের বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন কী নির্দেশ করে তার জন্য সব চালকের প্রশিক্ষণ দরকার। এ প্রশিক্ষণও কম।
বিআরটিএ মিরপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা মিরপুর কার্যালয়কে ঘুষমুক্ত করেছি। আজও চারজন দালালকে ধরা হয়েছে। সোমবার ছয়জন দালালকে ধরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সপ্তাহের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমাদের কার্যালয় খোলা থাকবে। আমাদের কাজের চাপ বেড়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্র দ্বিগুণ পড়ছে, ফিটনেস সনদ ও লাইসেন্স নিতে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সেবাগ্রহীতা আসছেন। আমরাও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি, যাতে দুর্নীতি না হয়।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খোকন বলেন, সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে বিআরটিএতে গোপানে উেকাচ নেওয়া হয়। না দিলে সেবা মেলে না। এ কারণে চালকরা বিআরটিএতে যেতে চান না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বিআরটিএতে সুশাসন নেই। কুশাসনের বড় কারণ তদারকির অভাব ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা। সারা দেশেই বিঅরটিএ কার্যালয়ে নজর দিতে হবে, যাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়। বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান বলেন, বিআরটিএতে লাইসেন্স ও ফিটনেসসহ বিভিন্ন সেবায় যে ঘুষ দিতে হয় তা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তদারকি বাড়াতে হবে, দালাল তাড়াতে হবে, কাউন্টার বাড়াতে হবে, চোখের দেখায় ফিটনেস দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, মোটরযান চলাচলের উপযুক্ততা পরীক্ষা করার পর বিআরটিএর স্থানীয় কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শকরা ফিটনেস সনদ সর্বপ্রথম তিন বছরের জন্য ইস্যু করেন। এরপর প্রতিবছর নির্ধারিত ফি দিয়ে একই কার্যালয় থেকে মোটরযানের ফিটনেস সনদ নবায়ন করতে হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় সাংবাদিকদের উপর বর্বোরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাংবাদিক অসিম বরন চক্রবর্তী, আবুল কাসেম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও যুবকদের হামলার তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ঢাকার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন। অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে তথ্য ও ছবি সংগ্রহের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কোন নিরাপত্তা দেয়নি। যা খুবই দু:খজনক। বক্তারা এ সময় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest