সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

nnn n nnn …    ,,..                                          ধুলিহরে বাবু’র নির্বাচনী গণসংযোগ

 

ধুলিহর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আসাদুজ্জামান বাবু নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। সোমবার বিকালে ধুলিহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং সার্বিক খোজখবর নেন। এসময় ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় গণম্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
গণসংযোগকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। সারের জন্য কৃষকদের লাইনে দাঁড়াতে হয় না। মানুষ ঘরে বসেই সকল প্রকার সেবা পায়। এসবই জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালীর আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে তিনি ধুলিহরের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোক্তার হোসেনের জানাযা নামাজে অংশ গ্রহণ করেন এবং আমিন উদ্দীন(আমিন মেম্বর) এর কবর জিয়ারত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সায়েন্স অলিম্পিয়াডে সাতক্ষীরার শুভজিতের পদক প্রাপ্তি

 

চতুর্থ বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে শুভজিত বন্দোপাধ্যায় সারা দেশের মধ্যে রানার-আপ হয়ে আবারও সাতক্ষীরার মুখ উজ্জ্বল করেছে। গত শুক্রবার ঢাকার এশিয়া প্যাথিটিক ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শুভজিত অংশ নিয়ে রানার আপ হয়। সে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র এবং সাতক্ষীরা পি এন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক প্রসেনজিত বন্দোপাধ্যায় ও মিতা ব্যানার্জির পুত্র। সে সকলের আশীর্বাদ প্রার্থী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘দুর্বল চিত্তের লোক আমার সঙ্গে না থাকাই ভালো’

দেশের খবর: সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা বিচলিত হওয়ার মতো এমন কোনো আন্দোলন ছিল না। যারা এ আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন, বিচলিত হয়েছেন তারা দুর্বলচিত্তের লোক। এমন দুর্বল চিত্তের লোক আমার সঙ্গে না থাকাটাই ভালো।
সোমবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন’ অনুমোদন নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গটি উঠলে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সেখানে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন আমরাও করেছি। আন্দোলন করতে গেলে রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন করতে হয়। ঘাম ঝরাতে হয়। ওই রকম কোনো পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হয়নি। এতেই যারা বিচলিত হয় পড়ে তাদের আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ বলবো। মানুষের এতো দুর্বল চিত্ত থাকলে তো মুশকিল। যারা এ আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন, বিচলিত হয়েছেন তাদের দুর্বলচিত্তের লোকই বলবো, আমার সঙ্গে এমন দুর্ব ল চিত্তাতের লোক না থাকাটাই ভালো।
গুজব ছড়িয়ে যারা বিভ্রান্তি তৈরি করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন গিরে নানারকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। যাচাই না করেই কেউ কেউ এ ধরনের বিভ্রান্তিতে কান দিয়েছে। আসলে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে এ পরিস্থিতি করা হয়েছিল। এরকম প্রচারের জন্য ফেসবুকে এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুজব যেন না ছড়াতে পারে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী সবাইকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আজ (সোমবার) দেশের কোথাও ছাত্ররা রাস্তায় নামেনি। তবে শুনেছি রামপুরায় কিছু শিক্ষার্থী নেমেছে। অন্যত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
সূত্র জানায়, সভায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আগের চেয়ে কমছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সড়ক তদারকি করায় এবং বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে অভিযান

কে.এম রেজাউল করিম,দেবহাটা : দেবহাটায় ট্রাফিক সপ্তাহ-১৮ উপলক্ষ্যে অবৈধ মোটরযানের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল ১০ টা থেকে উপজেলার সখিপুর খানবাহাদুর আহছানউল্লাহ কলেজ সম্মুখে সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার দেবহাটা সার্কেল ইয়াছিন আলী ও দেবহাটা থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলীর নেতৃত্বে দেবহাটা থানার পুলিশের এই অবৈধ মোটরযান অভিযান পরিচালনা করা হয়। ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষ্যে সেবা প্রদান, রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সাধারন মানুষ ও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতার লক্ষ্যে পরিচালিত এই অভিযানে চেকিং সহ মামলা প্রদান করা হয়। এসসময় সঠিক কাগজপত্র না থাকায় মোট ২২ টি মোটরযানের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করা এবং সকলকে গাড়ীর কাগজপত্র সাথে রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া জীবনের মূল্যবোধে হেলমেট পরিধান করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।
পরে সেখানে জেলা আঃলীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সকল দাবী মেনে নিয়েছেন এবং আগামী সংসদ এই অধিবেশনে এগুলো পাশ করা হবে বলে জানিয়ে সকল শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রলীগ(জাসদ)কলারোয়া উপজেলার প্রতিনিধি সভা

 

৬ আগস্ট সোমবার সকাল ১১টায় কলারোয়া পাবলিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(জাসদ) কলারোয়া উপজেলা শাখার প্রতিনিধি সভা কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রুহুল কুদ্দুস রনির সভাপতিত্বে ও রাসেল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালনের মাধ্যমে দিয়ে প্রতিনিধি সভা শুরু হয়।
প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের জাসদ মনোনীত ও ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি মুনসুর আলী, মোরতাজুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, দপ্তর সম্পাদক নূরুল আলম, হেলাতলা ইউনিয়ন জাসদ সভাপতি আব্দুল গফফার, সহ-সভাপতি আব্দুল আলিম, তালা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম আব্দুল আলিম, নগরঘাটা ইউনিয়ন সভাপতি সাইদুজ্জামান শুভ, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নয়ন হোসেন, আজমল হোসেন, রিপন হোসেন, আলী আহছান, আবু সাঈদ প্রমুখ। প্রতিনিধি সভায় ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলারোয়া উপজেলার ১২ ইউনিয়নের সাংগঠনিক কমিটি গঠন পূর্বক সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রতিনিধি সমাবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা- কলারোয়া সাতক্ষীরা-১ আসনে নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতির অংশ হিসাবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলারোয়া উপজেলার ৭০টি ভোটকেন্দ্রের কেন্দ্র কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে জাসদ মনোনীত ও ১৪ দল মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু কে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া শিক্ষা,শান্তি, প্রগতিকে মুল মন্ত্র এবং এক দেশ এক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু, ডাকসুসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও পাঠ্যসুচিতে সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে দেশের সকল সচেতন ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাফিক আইনে সক্রিয় পুলিশ, বেড়েছে হেলমেটের ব্যবহার

দেশের খবর: নিরপাদ সড়কের আন্দোলনের পর রাজশাহীতে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে চলছে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ। বর্তমানে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ।
আর দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। যা কয়েকদিন থেকে বেশ লক্ষণীয়৷
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বর্তমানে কাউকেই যানবাহন চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্সকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বেশি।
সোমবার (০৬ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে মহানগরীর ব্যস্ততম পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক বিষয়ক সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়। পাশাপাশি মহানগরীর জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর ও গোরহাঙ্গা মোড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে আরএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সচেতনতামূলক স্টিকার লাগান।
ট্রাফিক সপ্তাহ সফল করার লক্ষ্যে মহানগরীর জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর ও গোরহাঙ্গা এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের মোটরযান আইনে মামলা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতামূলক লিফলেটও দেওয়া হয়।
এ সময় রোভার স্কাউট, গালর্স গাইড ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ কাজে আরএমপি পুলিশকে সহযোগিতা করেন বলেও জানান মহানগর পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে, দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাই হঠাৎ করেই বেড়েছে মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা। মোটরপার্সের দোকানে বেড়েছে হেলমেট বিক্রি।
রাণীবাজার এলাকার সাজ্জাদ মোটর্সের সত্ত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা কড়াকড়ি হওয়ায় ক’দিন থেকেই হেলমেটের বিক্রি বেড়েছে। মামলা এড়াতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করছেন। এটি চলমান থাকলে দুর্ঘটনার হার কমবে বলেও মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে চড়া সুদের ছোবলে নিঃশ্ব বহু অসহায় পরিবার

আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে চড়া সুদের ছোবলে একাধিক অসহায় পরিবার নিঃশ্ব হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুদের টাকা যোগাড় করতে সহায় সম্বল এমনকি সর্বশেষ বসত ভিটা খুয়িয়েও শেষ রক্ষা না পেয়ে জন্মস্থান ছাড়তে বধ্য হয়েছে একাধিক পরিবার। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অভিযুক্ত এলাকায় সুদে মহাজনদের একটা সেন্ডিকেট কাজ করছে। একজনের টাকা সুদে দেওয়া হচ্ছে একাধিক ব্যক্তির হাত দিয়ে নতুন নতুন ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প ও চেকের মাধ্যমে চড়া থেকে চড়া সুদে। বড়দলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও একাধিক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, এক লক্ষ টাকা সুদে নিলে প্রতিদিন ২২০০ টাকা সুদ দেয়া লাগে সুদে মহাজনকে। সুদের টাকা দিতে সময় ক্ষেপন করলে সুদের টাকারও সুদ গুনতে হয় দ্বিগুন হারে। এমনই এত চড়া সুদের ছোবলে নিঃশ্ব হয়ে জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ফকরাবাদ গ্রামের দাউদ সরদারের পুত্র আছাদুল সরদার। আছাদুল সরদারের স্ত্রী মুর্শিদা খাতুন(৩৫) এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী ৬ মাস পূর্বে গোয়ালগাংগা বাজারের গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক বিশ্বনাথ শীল থেকে তার দোকানের ব্যবসার জন্য কিছু টাকা সুদে নেন। সময় মত সুদের কাটা দিতে না পারায় সুদে মহাজন বিশ্বনাথের থেকে চড়া সুদে আরও টাকা নিয়ে তার সুদের টাকা দিতে থাকেন। মাস খানেক পরে বিশ্বনাথের সুদের টাকা যোগান দিতে তার স্বামী (আছাদুল) পর্যায়ক্রমে বাজারের তোহা টেলিকমের মালিক তোহা গাজী, গোয়ালডাংগা গ্রামের আনন্দ বিশ্বাসের পুত্র নিত্য বিশ্বাস, মোক্তার সরদারের পুত্র শামিম, কেয়ারগাতী গ্রামের অমেদ আলীর পুত্র বাজারের সানমুন টেলিকমের মালিক আছাফুরের থেকে চড়া সুদে টাকা নিতে শুরু করেন। এভাবে ৬ মাস যেতে না যেতেই আমাদের শেষ সম্বল ৩ বিঘা জমি বিক্রি করে সুদের টাকা দিয়েও আজ আমার স্বামীর ঘাড়ে ১২ লক্ষ সুদের টাকার ঘাণী নিয়ে বাড়ি ছাড়া। তিন সন্তান ও শ্বাশুড়ী নিয়ে আজ আমি পথের ভিখারী। ফকরাবাদ গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের পুত্র ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস(৩৩) জানান, আমি প্রথমে খোকন গাজীর পুত্র বাজারের তোহা টেলিকমের মালিক তোহা গাজীর থেকে ২০ হাজার টাকা সুদে নেই। পরে তার সুদের টাকা সময় মত না দিতে পারায় সে আমাকে অন্য এক জনের কাছে পাঠিয়ে দেয় যেখানে জামানত হিসাবে লাগবে ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প এবং সুদের হারও বেশি। এভাবে সুদের টাকা যোগাতে এক মহাজন থেকে অন্য মহাজন ঘুরে সুদের হার বাড়াতে বাড়াতে আজ আমি ১০ লক্ষ সুদের টাকার ঘানী টানতে ব্যর্থ হয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অভিযুক্ত আছাফুর এ প্রতিবেদককে জানান, তার সাথে আছাদুলের কোন লেনদেন নাই এমনকি তার(আছাদুলের) কোন স্ট্যাম্প বা চেক তার কাছে নেই। তবে তোহা গাজী এবং বিশ্বনাথ শীলের সাথে আছাদুলের লেনদেন আছে যে কারনে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তোহা গাজী জানান, আছাদুলের সাথে তার কোন লেনদেন নেই। বিশ্বনাথ শীলের ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৭৪৮-৯৬৮২৮৫ ও ০১৯৩৯-৪২০০২০ তে বহুবার রিং দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি উল্লেখিত সুদখোরদের বাহিরে বুড়িয়া গ্রামের মগর গাজীর পুত্র সিরাজুল গাজী ছাড়াও বহু ছোট বড় সুদখোর বর্তমানে বড়দলের বিভিন্ন এলাকায় তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুদের টাকা আদাই করাকে কেন্দ্র করে বহু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে এলাকায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে এ এলাকার সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

০৬.০৮.২০১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন

দেশের খবর: সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহাণির ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল আইনটি। দেড় বছর আগে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
যা ছিল খসড়া আইনে
খসড়া আইনানুযায়ী, গাড়ি চালানোর সময় কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে আইনে।
আইন অনুযায়ী, সড়কের ফুটপাতের উপর দিয়ে কোনো ধরনের মোটরযান চালাচল করতে পারবে না। যদি করে, তবে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
আগে গাড়ি চালকদের লেখাপড়ার বিষয়ে কিছু না থাকলেও নতুন আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
কন্ডাক্টর বা চালকের সহযোগীকে কমপক্ষে লেখা ও পড়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তার লেখাপড়া থাকতে হবে।
যদি কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালায়, তবে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কেউ এই অপরাধ করলে, তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ৩ মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
চালকের সহকারীর লাইসেন্স লাগবে। কন্ডাক্টারের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করলে আগে শাস্তি ছিল সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা। প্রস্তাবিত আইনে মূল শাস্তি কারাদণ্ড আগের মতোই আছে, জরিমানা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে।
ফিটনেস না থাকা মোটরযান চালালে আগে শাস্তি সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা রয়েছে। সেখানে এখন শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা। এ শাস্তি পাবে মূলত গাড়ির মালিক।
দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দণ্ডবিধিতে যে শাস্তি রয়েছে, সেই শাস্তি প্রযোজ্য হবে। দুর্ঘটনার মাধ্যমে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নরহত্যা হয়, তবে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হবে। শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। হত্যা না হলে, ক্ষেত্রে ৩০৪ ধারা প্রযোজ্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি যাবজ্জীবন। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা হলে ৩০৪ এর (বি) অনুযায়ী ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
গাড়ি ওজন সীমা অতিক্রম করলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা জরিমানা। এখানে মালিক ও ড্রাইভার দুই গ্রুপকেই যুক্ত করা হয়েছে, তারা দায়ী হবে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দুই গাড়িতে পাল্লা দেয়ার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং এতে দুর্ঘটনা না ঘটলেও ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছিল প্রস্তাবিত আইনে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest