সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

কিশোর আন্দোলনের সমর্থনে রাজপথে কলকাতার ছাত্রসমাজ

বিদেশের খবর: বাংলাদেশে চলমান নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর-কিশোরীদর আন্দোলন ক্রমশ সহিংস রূপ নিচ্ছে। জিগাতলায় গত শনিবার সংঘর্ষের পর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে রাজপথ ছেড়ে দিলেও মাঠে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সোমবারও রাজধানীর শাহবাগ, রামপুরা কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ এবং অস্ত্রধারী হেলমেট পরা যুবকদের হামলার শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের সমর্থনে গর্জে উঠেছে ওপার বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা। বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের এই অভূতপূর্ব আন্দোলনে কলকাতার সোশ্যাল দুনিয়া উত্তাল। তবে অনলাইনে প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত নয় তারা; রীতিমতো রাজপথে মিছিল করেছে। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সী, সি.ইউ, রবীন্দ্রভারতীসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা । সোমবার বিশাল মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করে। একপর্যায়ে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে। এরপর মিছিল সহকারে কলকাতা নগরীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়।কিশোর আন্দোলনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কিছু স্লোগান ফেস্টুনে লিখে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতার শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে ছিল বিখ্যাত সেই স্লোগান, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমিই বাংলাদেশ।’ উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা এলাকায় ‘জাবালে নূর’ নামের দুই বাসের রেষারেষিতে নিহত হন দুই কলেজ শিক্ষার্থী। এর পর থেকেই প্রায় ৮দিন রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশের রাজপথ অবরুদ্ধ করে রাখে ছাত্র-ছাত্রীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিক্ষার্থীদের ওপর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস

দেশের খবর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। রাজধানীর শাহবাগে সোমবার বিকাল তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল শাহবাগের দিকে আসার সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরে লাঠিপেটা শুরু করে।
সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল। বেলা একটার দিকে ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত এসেছে মিছিল আসলে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। বিকাল তিনটার দিকে মিছিলটি শাহবাগমুখী হলে থানার সামনে এসে বাধার মুখে পড়ে। পুলিশি বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে যায়। পুলিশ এখনও ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে আছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিচার ৩০২ ধারায় সম্ভব

দেশের খবর: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিচার দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সম্ভব বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরে নিয়ে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বিচারের সুযোগ রয়েছে।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ওই সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নতুন আইনে বিচারের সুযোগ নেই। বিদ্যমান আইনেই সেটা হবে। আর বিদ্যমান আইনে পেনাল কোডের ৩০২ ধারার অধীনে এ ঘটনার বিচারের সুযোগ রয়েছে।’
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন ধারা ও তার শাস্তির বিধান ব্যাখ্যা করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্টে স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চালকের শাস্তির বিধানের ব্যাখ্যা দেন।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত আইন প্রসঙ্গে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এটা কিন্তু অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে। সর্বোচ্চ শাস্তি যদি বলুন, তাহলে হত্যার উদ্দেশ্যে যানবাহন চালানো বা ডেলিভারেট ক্লিলিং (ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যাকাণ্ড) হয়, তাহলে সেই অবস্থায় এই মামলাটি চলে যাবে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায়। আর এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। অর্থাৎ তদন্তে যদি প্রমাণিত হয়, হত্যার উদ্দেশ্যের যানবাহন চালানো হয়েছে, তাহলে সেই মামলা পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় চলবে।’
রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বাসচাপায় নিহতের বিচার পেনাল কোডের ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হতে পারে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘যে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, সে ঘটনায় বাসচালক রিমান্ডে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার ওই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, এটা একটা ডেলিভারেট ক্লিলিং, তাহলে সেই অবস্থায় এই মামলাটি চলে যাবে পেনাল কোডের ৩০২ ধারার অধীনে। যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’ তবে, এই দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলা সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত আইনে হবে, না বিদ্যমান আইনে হবে, তা পরিষ্কার করে বলেননি ওবায়দুল কাদের।
এদিকে, এ বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের সামনে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে নতুন আইন কার্যকর হবে না। নতুন আইনের আগেই ঘটনা ঘটেছে। তাই ঘটনার সময় যে আইন রয়েছে, সেই আইনটি এক্ষেত্রে কার্যকর হবে। তবে, নতুন আইনে যেমনটি হত্যার উদ্দেশ্য গাড়ি চালনাকে ৩০২ ধারার অধীনে বিচারের কথা বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনেও সেই সুযোগ আছে। এর অর্থ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী যেটা বলেছেন তা হচ্ছে, যে আইন এখন বলবৎ রয়েছে সেই আইনেও এটা ৩০২ ধারার অধীনে বিচার হতে পারে। তবে এটা সম্ভব কিনা, তা তদন্ত প্রতিবেদন এলেই বলা যাবে।’ তদন্ত প্রতিবেদনে যদি সুস্পষ্টভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তবে ওই ধারায় চলবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে (র‌্যাডিসন হোটেলের উল্টোদিকে) বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল করিম সজীব ও দিয়া খানম মীম নিহত হন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলন শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৬ আগস্ট) মন্ত্রিসভায় ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’-এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের ৪ টি ইউনিয়নে পানির ট্যাংক, সোলার ও নগদ টাকা বিতরণ করলেন রুহুল এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কালিগঞ্জের ৪ টি ইউনিয়নে পানির ট্যাংক, সোলার ও নগদ টাকা বিতরণ করছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল এমপি। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার নলতা,ভাড়াসিমলা,তারালী ও চম্পাফুল ইউনিয়নের দরিদ্রদের মাঝে ৭৩ টি পানির ট্যাংক, ১৩০ টি সোলার সিস্টেম ও ১ লক্ষ ১১ হাজার ৫০০ নগদ টাকা বিতরণ করেন।
এসময় নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিছুজ্জামান, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোট, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ শাহরিয়ার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ উজ্জ্বল সহ ৪ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডা: আ.ফ.ম রুহুল এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা জনগণকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করতে চায়। সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাইপাস সড়কের কাজ প্রায় শেষ। অত্র অঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উপজেলার কয়েকটি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। জেলার শেষ প্রান্তে থেকে মানুষ শহরের সেবা পাচ্ছে। দেশ থেকে অন্ধকার দূর করতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করেছেন। যা ইতোপূর্বে অন্য কোন সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর জিগাতলা ও সায়েন্স ল্যাব মোড়ে গত শনি ও রোববার সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে প্রায় ২০০ সাংবাদিক অংশ নেন।
এ সময় তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ বলেন, গত কয়েকদিনের আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ১২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আমরা এসব ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
দীপ আজাদ বলেন, আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া ৩০ জনের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ বলেন, হামলাকারীদের ছবি এরই মাঝে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া আমাদের সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও ভিডিও ফুটেজে আছে। তাই এদের চিহ্নিত করতে বেশি কষ্ট হবে না। আমরা চাই এসব হামলাকারীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এই সাংবাদিক নেতা বলেন, আমরা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ জনগণের কাছে তুলে ধরি। আমরা সরকার বা আন্দোলনকারী কারোই প্রতিপক্ষ নই। কিন্তু বারবারই আমাদের ওপর নগ্ন হামলা হচ্ছে। সরকারকে অবশ্যই এসব হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মানববন্ধনে একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল বলেন, বিশ্বের কোথাও যুদ্ধের ময়দানেও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয় না। কিন্তু ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। এখানে যেকোনো পরিস্থিতিতে হামলার শিকার হয় সাংবাদিকরা। কিন্তু বারবারই এসব হামলাকারীরা পার পেয়ে যায়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অতি দ্রুত সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ আইন করা হোক। যাতে আর কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলার সাহস না করে। আর কখনো কেউ সাংবাদিকেদের ওপর হামলা করলে পুলিশ যেন নিজে বাদী হয়ে এর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে সেই বিধান রাখতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফটোসাংবাদিক শহিদুলকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

দেশের খবর: আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দশ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে সোমবার বিকালে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পরিদর্শক আরমান আলী রিমান্ডের এই আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানি হবে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশি পাহারার মধ্যে খালি পায়ে শহিদুলকে এজলাসের সামনে আনা হয়।
তার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করতে ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস, জীবানন্দ চন্দ্র জয়ন্তসহ ১০-১২জন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত আছেন।
পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল অধিকার আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রোববার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে আসেন তিনি।
ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এরপর রোববার রাতে শহিদুল আলমকে তার ধানমণ্ডির বাসা থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
সোমবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ তারা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন।
শহিদুলকে কেন আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ শুরুতে স্পষ্ট কিছু না বললেও বিকালে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনিই একমাত্র আসামি।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা এ মামলায় ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আইনে মামলা দীর্ঘায়িতের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

দেশের খবর: সড়ক পরিবহন আইনের মামলা তদন্তে দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো হয়েছে বলে মনে হলে ৩০২ ধারায় বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, এই আইনে মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ নেই, গুরুত্বপূর্ণ হলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। এছাড়া ৩০২ ধারায় মামলা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর যদি তদন্তে মনে হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, বেপরোয়া চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৩ ধারায় মামলা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে। এর আগে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এছাড়া খসড়া সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে একটি তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, কেউ যদি রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি চালায়, তাহলে তাকে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা অথদণ্ড দেওয়া যাবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। ফিটনেস না থাকা মটরযান চালালে শাস্তি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এ আইনে। শাস্তি পাবে গাড়ির মালিক। গাড়ির চেচিচ বা আকার আকৃতির পরিবর্তন করলে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা অথদণ্ড কিংবা উভয দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে কারাদণ্ড কখনই এক বছরের নিচে দেওয়া যাবে না।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। এরপর আইনটি সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে পাসের জন্য৷ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত অনুমোদন পেল আইনটি। দেড় বছর আগে খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। এখন আইনটি পাসের জন্য সংসদের আগামী অধিবেশনে তোলা হবে৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’

দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা এ আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন, বিচলিত হয়েছেন তাদের দুর্বলচিত্তের লোক বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন’ অনুমোদন নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গটি উঠলে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে কথা উঠলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা এমন কোনো আন্দোলন ছিল না যে এতো বিচলিত হতে হবে। আন্দোলন করতে গেলে রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়, প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আন্দোলন করতে হয়। ঘাম ঝরাতে হয়। ওই রকম কোনো পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হয়নি। এতেই যারা বিচলিত হয়েছিলো তারা দুর্বল চিত্তের মানুষ। এতো দুর্বল চিত্তের মানুষ হলে চলে না। দুর্বল চিত্তের এই মানুষদের আমার সঙ্গে থাকার দরকার নেই, তারা না থাকাই ভালো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ আন্দোলনে অনেক বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। যাচাই না করেই কেউ কেউ এ ধরনের বিভ্রান্তিতে কান দিয়েছে। আসলে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে এ পরিস্থিতি করা হয়েছিল।এরকম প্রচারের জন্য ফেসবুকে এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, সড়ক আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর করা হয়েছে। এ সময় অনেকে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর করার পক্ষে মত দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেহেতু সবার সঙ্গে আলোচনা করে ৫ বছর সুপারিশ করা হয়েছে, ৫ বছরই থাক। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এ আইনের অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার বিধানও রাখা হয়েছে।
এদিকে সভায় ‘সুজন’ সম্পাদক বদিউল আলম মুজমদারের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতে মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার বিষয়টিও উঠে আসে। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনও কথা বলেননি।
সূত্র আরও জানায়, সভায় সোমবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী সবাইকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, আজ দেশের কোথাও ছাত্ররা রাস্তায় নামেনি। তবে শুনেছি রামপুরায় কিছু শিক্ষার্থী নেমেছে। অন্যত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
সভায় সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম জানান, বিআরটিএ-তে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অধিক। কিন্তু লাইসেন্সের সংখ্যা কম। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানানা, সরকার এক লাখ দক্ষ চালক তৈরি করছে। এডিবির সঙ্গে সরকার একটা চুক্তি করেছে। এ চুক্তির আওতায় এডিবি এক লাখ দক্ষ গাড়িচালক তৈরি করতে সহায়তা দেবে।
জানা যায়, সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গটি প্রথমে তোলেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশে সড়কের কোনো রুটের হাইওয়েতে ওয়েট মেশিন নেই। শুধু আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ওয়েট মেশিন বসানো হয়েছে। অন্য রুটগুলোতে ওয়েট মেশিন নেই কেন?
তখন সড়ক বিভাগের সচিব বলেছেন, সারা দেশে আরও ৪০টি হাইওয়েতে ওয়েট মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
সূত্র আরও জানায়, আলোচনার শেষ দিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কমেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সড়ক তদারকি করায় এবং বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest