সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভ

খুলনায় হোটেল থেকে যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে দেয়া লাশ উদ্ধার

খুলনা সংবাদদাতা: খুলনা মহানগরীতে আলাদা ঘটনায় দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টায় মহানগরী ডাকবাংলা মোড়ের একটি আবাসিক হোটেলের ৫০২ নম্বর কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত (৩০) বছরের এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়। লাশটি উলঙ্গ অবস্থায় কক্ষের বক্সখাটের নীচে লুকানো অবস্থায় ছিল। তার মুখ ও যৌনাঙ্গ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আজ দুপুরের দিকে ওই কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকায় হোটেলের কর্মচারীরা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় দুর্গন্ধের কারণ খুজতে গিয়ে বক্সখাটের নীচে লাশের সন্ধান পায়।

অপরদিকে মহানগরীর আড়ংঘাটা বাইপাস সড়কের বড়ইতলা এলাকা থেকে অজ্ঞাত (৫০) আরেক ব্যক্তির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার একটি মাছের ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রেজাউল করিম জানান, মৃতদেহের কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় ওই আসামীকে অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামী পলাতক রয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম রানা সরদার (৩৫)। সে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বিলগঞ্জ গ্রামের পাঁচু সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে বাদির বোন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের এক দিন মজুরের মেয়ে খোরদো ব্রাক স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বের হয়। দুপুর একটা বেজে গেলে সে বাড়ি না আসায় বাদি ও তার স্বজনরা খুঁজতে যেয়ে জানতে পারেন যে তার এক সহপাঠী খোরদো গ্রামের এক মেয়েকে একটি মোটর সাইকেলে করে নিয়ে গেছে এক ব্যক্তি।
পরদিন সকাল ৯টার দিকে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চাকলা খেয়াঘাটে কপোতাক্ষ নদ পার হওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দু’ স্কুল ছাত্রীসহ নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার রানা সরদারকে আটক করে। পরে রানাকে গণধালাই দেওয়া হয়। এ সময় দু’ স্কুল ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদেরকে ভারতে ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে খোরদো বাজার থেকে মোটর সাইকেলে তুলে চাকলা খেয়াঘাট পার হয়ে যশোরের চাঁচড়ায় নিয়ে যায় রানা। পরে তাদেরকে মনিহার সিনেমা হলে সিনেমা দেখানোর পর রাতে একটি আবাসিক হোটেলে তোলা হয়। হোটেলে বাদির বোনকে স্ত্রী ও তার সহপাঠীকে শালিকা পরিচয় দিয়ে একই কক্ষে রাত্রিযাপন করে রানা সরদার। সহপাঠীকে চুলকানির ঔষধের নামে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বাদির বোনকে গভীর রাতে ধর্ষণ করে রানা। পরদিন তাদেরকে চাকলা খেয়াঘাট হয়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই সালের ৯ জুলাই পাকুড়িয়া গ্রামের ওই ধর্ষিতার ভাই বাদি হয়ে রানা সরদারের নাম উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় মানব পাচার এর ৫(১) ধারা ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী ১০ জুলাই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইব্রাহীম খলিলের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক সামছুল হুদা ২০০৫ সালের ২৫ আগষ্ট আদালতে এজাহারভুক্ত আসামীর নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দু’ শিশুকে অপহরণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭(১) ধারায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসাথে ধর্ষণের অভিযোগে ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। দু’টি কারাদণ্ড একইসাথে চলবে বলে আদেশে বলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় সাইকেলচুরির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার ২৫জুন সকাল ১০টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- উপজেলার পূর্ব কয়লা গ্রামের কামরুল শেখের পুত্র সুজন (২৪) ও পৌরসদরের তুলশীডাঙ্গা গ্রামের ওমর আলী দফাদারের পুত্র আমিনুর ইসলাম বাবু (৫০)।
জানা গেছে- সকাল ১০টার কলারোয়া বাজারে সাইকেল চুরির অভিযোগে আটক ওই দুই ব্যক্তিকে ২মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মান্নানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দন্ডপ্রাপ্তদের কলারোয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় নাশকতা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ায় নাশকতা মামলায় পিতা ও পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আজিবর সরদারের পুত্র ওজিয়ার রহমান (৬০) ও ওজিয়ার রহমানের পুত্র আব্দুল আলিম (৩৫)।
থানা সূত্র জানায়- সোমবার (২৫জুন) ভোররাত ৪টার দিকে তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় নাশকতা মামলা (নং-৩/৩১, তারিখ-০২ ফেব্রয়ারী, ২০১৮; জি আর নং-৩১/১৮, তারিখ-০২ ফেব্রয়ারী, ২০১৮) রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এক দিনে বজ্রপাতে নিহত ৪

আব্দুল জলিল : সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আটজন। সোমবার দুপুর সাতক্ষীরা সদরের বৈকারি ও শ্যামনগরের গুমনতলী গ্রামে এ ঘটনটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদরের বৈকারি গ্রামের আব্দুস সালামে ছেলে সাজু হোসেন (২৫), ভোমরা উইনিয়নের তেঘোরিয়া গ্রামের আবুল খায়ের, শ্যামনগরের গুমনতলী গ্রামের শ্রীকান্ত দাশের স্ত্রী জোৎসা মন্ডল (৩৫) ও মুজিদ মোল্লার স্ত্রী জিন্নাহতুননেছ (৩২)।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, গুমনতলী মৎস্য সেটে নারী শ্রমিকরা কাজ করছিল। এ সময় আকস্কিক বজ্রপাত হলে দুইজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বৈকারি ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান অসলে জানান, তিন চারজন কর্মচারি নিয়ে সাজু তার নিজস্ব মৎস্য ঘেরে কাজ করছিল। এসময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হলে সে তার কর্মচারিদের নিয়ে বাড়ি আসছিলেন। পতিমধ্যে আকস্মিক বজ্রপাতে সাজু হোসেন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন দুইজন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৃষ্টির খেলায় পানিবন্দি কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফসলি মাঠসহ অন্যান্য স্থান।
২৫শে জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে মাঝারি,মূসলধারে ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাতে জনজীবন সাময়িক স্থবির হয়ে পড়ে।
অনেক মানুষ কর্মসংস্থানে যাওয়ারও সুযোগ পাননি। অনেকটা অলস সময় পার করেছেন তারা।
দিনভর অঝোরে ঝরতেই থাকে হালকা মেঘের বৃষ্টির খেলা।
জানা যায়- কলারোয়া পৌরসদরের বেত্রাবতী হাইস্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বর, খোরদো বাজার কেন্দ্রিক জামে মসজিদের মেইন সড়ক, গোপিনাথপুর এলাকার ফসলি মাঠ ও অন্যান্য স্থান পানিতে থৈথৈ অবস্থা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ যেনো এখন পুকুরে রূপ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল্যতা, পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকা কিংবা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া পানি নিষ্কাষন না হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পেেছ এসকল স্থান।
অনেকে জানান- কলারোয়া পৌরসভা ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের গুররুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অনেক ড্রেনগুলোর অস্তিত্বও খুজে পাওয়া দায়। আর ফসলি মাঠে যত্রতত্র মাছের ঘের ও মাত্রাতিরিক্ত পানি নিষ্কাষনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে আবাদি জমি। এর সাথে যোগ হয়েছে ভরা বর্ষা মৌসুমেও কলারোয়ার নদ, নদী ও খালগুলোর বেহলা অবস্থাও। কপোতাক্ষ নদ ও বেত্রবতী নদীতে পানি প্রবাহ নেই বললেই চলে। বেত্রবতীর অবস্থা যেন মৃতপ্রায়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি খালের নিশানা পাওয়া দূষ্কর। খালগুলো ব্যক্তিস্বার্থে বেদখল হয়ে পড়েছে কিংবা ভরাট হয়ে ড্রেনের মতো গর্তও নেই। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পানি প্রবাহ ব্যাহত ও বন্ধ হয়ে পড়ায় মাঝারি কিংবা একটু ভারি বর্ষনেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকা।
বছরের পর বছর বর্ষা মৌসুমে এমন ভোগান্তি হওয়ায় সাময়িক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও কাজের কাজ বা স্থায়ী ফলপ্রসু সুফল পান না ভূক্তভোগিরা। তাদের দাবি- জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টার প্লান করে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করা হোক অচিরেই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইকার্দির বিশ্বকাপে না থাকার পেছনে ম্যারাডোনা-মেসি-মাসচেরানো!

খেলার খবর: রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিার চূড়ান্ত দল ঘোষণা পর থেকে একটি নাম না থাকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হচ্ছে। সেটা আরো বেশি আলোচনার জন্ম দিয়ে স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা নিজেদের মেলে ধরতে না পারায়। সেই নামটি মাউরো ইকার্দি।

সমাপ্ত ক্লাব মৌসুমে ইন্টার মিলানের হয়ে ৩৬ ম্যাচে লীগের সর্বোচ্চ ২৯ গোল করা মাউরো ইকার্দিকে কেন বিশ্বকাপের দলে রাখা হলো না? আর প্রশ্নটা আরও বেশি উঠছে সেই একই লিগে ২২ গোল করা পাউলো দিবালা এবং ১৬ গোল করা হিগুয়েইন তাহলে কিভাবে ডাক পেলেন বিশ্বকাপ দলে?

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এক্ষেত্রে কোচ নয়, খেলোয়াড়রাই নাকি চাননি ইকার্দি বিশ্বকাপ দলে খেলুক, যার পেছনে আছে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কোন্দল। ইকার্দির স্ত্রী হচ্ছেন আর্জেন্টিনার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ফুটবল এজেন্ট ওয়ান্ডা নারা। তাঁর সঙ্গেই একটা সময় সংসার ছিল আরেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি লোপেজের। কখনো জাতীয় দলে না খেললেও লোপেজ খেলেছেন বার্সেলোনায় ও রিভার প্লেটে। ফলে মেসি এবং মাসচেরানোর সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে লোপেজের।

লোপেজের ঘর ভাঙার কারণে ইকার্দিকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয় আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমে। তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেন ম্যারাডোনা, উল্টো ইকার্দিও দু’কথা শুনিয়ে দেন ‘আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর’কে। এসব কারণেই তাকে দলে চাইছিলেন না মেসি ও মাসচেরানোসহ অনেকেই। স্বাভাবিকভাবে তাই ধারণা করা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই ইকার্দিকে দলে রাখেননি কোচ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে বজ্রপাতে ২ নারী শ্রমিক নিহত, আহত ৮

শ্যামনগর প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এসময় ৮ শ্রমিক আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী গ্রামে হাজী মিজানুর রহমানের মাছের ঘেরে কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের শ্রীকান্ত মন্ডলের স্ত্রী জোসনা মন্ডল (৩৫) এবং একই গ্রামে মজিদ মোল্যার স্ত্রী জিন্নাতুন নেছা (৪০)।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- একই গ্রামের আনিছুর রহমান, ঝর্ণা পারভীন, আনোয়ারা খাতুন, কুলছুম বিবি, আনোয়ারা বিবি, রহিমা খাতুন, ফুলবাসি মন্ডল এবং জানু।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, নিহত এবং আহত ব্যক্তিরা মাছের ঘেরে কাজ করার সময় প্রবল বর্ষনের মধ্যে আকর্ষিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে ২ মহিলা নিহত হয়।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে, আহত আনিছুর রহমান, আনোয়ারা খাতুন ও কুলছুম বিবির অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজওয়ান আহম্মেদ জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest